টেকসই উন্নয়নে বৈষম্যহীন আইনি কাঠামো অপরিহার্য: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যেকোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি কাঠামো অপরিহার্য। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যান্য অভীষ্টের সঙ্গে বৈষম্যহীন আইন ও নীতি প্রয়োগবিষয়ক অভীষ্ট বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এসডিজির গোল-১৬ (বি) বাস্তবায়নে প্রকল্পের আওতায় ১৭৯৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রণীত ১ হাজার ২৮৬টি আইনে কোনো বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে কি না, তা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন আইনের বৈষম্যমূলক বিধান, বৈষম্যের বিভিন্ন রূপ, যেমন লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য, ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে বৈষম্য, প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য ইত্যাদির স্বরূপ উদ্ঘাটন করে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। আইন মন্ত্রণালয় এসব সুপারিশ বিশ্লেষণ করবে, যাতে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা যায়। এ ছাড়া সরকার বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে এসব সুপারিশ বিবেচনা করা হবে।

কর্মশালায় বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি গবেষণাকর্ম প্যাকেজ-১, ২, ৩ ও ৪–এর দল নেতা যথাক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম আহসান কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে শামসুদ্দিন মাহমুদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ নিজ নিজ দলের গবেষণাকর্মের ফলাফল উপস্থাপন করেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।