ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসে কর দাবির ওপর তিন মাসের স্থিতাবস্থা

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ২০১৮-১৯ করবর্ষের জন্য ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা কর নির্ধারণ নিয়ে আয়কর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল খারিজের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মূল বিষয়বস্তুর ওপর শুনানি করে আপিলটি কেন নিষ্পত্তি করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। একই সঙ্গে ওই কর দাবির ওপর তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন আদালত।

ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আইনজীবীর তথ্যমতে, আয়কর কর্তৃপক্ষ মূল্যায়নের পর ২০১৮-১৯ করবর্ষের জন্য ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা কর নির্ধারণ করা হয়। এরপর অর্থ জমা দিয়ে আয়কর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। নিয়ম অনুসারে অর্থ জমা না দেওয়ায় এই আপিল খারিজ করে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। এর বৈধতা নিয়ে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূইয়া হাইকোর্টে রিটটি করেন।

রিটের পক্ষে আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, রমজান আলী শিকদার, মুস্তাফিজুর রহমান খান ও তানিম হোসাইন শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি ও আবুল কালাম খান।

পরে আইনজীবী রমজান আলী শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের দাবি, আপিল করার ক্ষেত্রে অর্থ জমা দেওয়ায় কিছু টাকা ঘাটতি ছিল। এর পরিমাণ ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা ইতিমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। সব পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি প্রথম আলোকে বলেন, মূল্যায়নের পর ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর আয়কর কর্তৃপক্ষ ২০১৮-১৯ করবর্ষের জন্য ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা কর দাবি করে। এই দাবির বিষয়ে তিন মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।