ডাকসু নির্বাচনের তফসিল চেয়ে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এতে বলা হয়েছে, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা, পরবর্তী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়ায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত।
শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আখতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা জাহিদ আহসান ও স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট টর্চার নামের একটি সংগঠনের সহপ্রতিষ্ঠাতা আহনাফ সাঈদ খান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অনিরাপদ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা এবং পরবর্তী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়ায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত। এমনকি ক্যাম্পাসের ভেতরই ভাড়াটে গুন্ডাদের দিয়ে ছাত্রলীগকে গুলি চালাতে দেখা গেছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনে ভয়-আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন্যূনতম কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
হলগুলোতে ছাত্রলীগের একচ্ছত্র আধিপত্যের ফলে হলে অবস্থানরত প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জোর করে হামলায় নামানো হচ্ছে। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দেশীয় অস্ত্র।
এ অবস্থায় ৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসেনি। প্রতিদিনই হলগুলো থেকে অস্ত্রসহ মিছিল ও মহড়া চলছে। এতে নবাগত শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরাও আতঙ্কে রয়েছেন। পরীক্ষার দিনকে ঘিরেও তাঁরা ভয়ে আছেন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া ডাকসুর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সব দল ও মতের সহাবস্থান নিশ্চিতের একটা বাতাস বইছিল। ডাকসুর এই অর্জনকে ম্লান করে দিতে এবং ডাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল সব সময় সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে আসছে। ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।