ডায়াবেটিস রোগীদের করোনার টিকা

বাংলাদেশে বেশ জোরেশোরেই চলছে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম। তবে এই টিকা নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে অনেক জিজ্ঞাসা। সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি সবার মনে কাজ করছে তা হলো, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি টিকা নেবেন কি না বা টিকা নেওয়া উচিত হবে কি না?

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলা যায়, ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দ্বিধায় এই টিকা নিতে পারবেন। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, যকৃত, কিডনি রোগী এবং যাঁরা অ্যাজমা ও ক্যানসারে আক্রান্ত, তাঁরাও এই টিকা নিতে পারবেন। চেষ্টা করতে হবে, এই রোগীরা যেন দ্রুত করোনার টিকা পান। দীর্ঘ মেয়াদে রোগে আক্রান্ত এই ব্যক্তিদের টিকাদানের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, এই রোগীরা করোনায় সংক্রমিত হলে মৃত্যুঝুঁকি তুলনামূলক অনেক বেশি। তবে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শে তা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

করোনার টিকা মাংসপেশির গভীরে দেওয়া হয়। এ ধরনের যেকোনো ইনজেকশন দেওয়ার সময় ডায়াবেটিস খুব বেশি অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ইনজেকশনের স্থানে সংক্রমণ বা ঘা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তার ওপর একেবারে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীর রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাও দুর্বল থাকে। তাই যাঁরা করোনার টিকা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁরা নিয়মিত রক্তের সুগার পরীক্ষা করুন। ডায়াবেটিস খুব বেশি অনিয়ন্ত্রিত থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেসব ডায়াবেটিস রোগী কোনো জটিল সংক্রমণে ভুগছেন, যেমন পায়ে আলসার, নিউমোনিয়া, প্রস্রাবের সংক্রমণ ইত্যাদি, তাঁদের টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে হবে।

টিকা দেওয়ার পর কারও কারও মধ্যে মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন টিকা দেওয়ার স্থানে ব্যথা, সামান্য ফুলে যাওয়া, শরীরে ব্যথা, ম্যাজম্যাজ, জ্বর বা জ্বরজ্বর ভাব, ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বলা যায়, ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দ্বিধায় এই টিকা নিতে পারবেন। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, যকৃত, কিডনি রোগী এবং যাঁরা অ্যাজমা ও ক্যানসারে আক্রান্ত, তাঁরাও এই টিকা নিতে পারবেন। চেষ্টা করতে হবে, এই রোগীরা যেন দ্রুত করোনার টিকা পান। দীর্ঘ মেয়াদে রোগে আক্রান্ত এই ব্যক্তিদের টিকাদানের গুরুত্ব অনেক বেশি।

টিকা নেওয়ার পর কত দিন নিরাপদে থাকা যাবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কোনো টিকাই শতভাগ কার্যকর নয়। তাই টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি আগের মতোই মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পরা, সাবান–পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন মেনে চলা ইত্যাদি বজায় রাখতে হবে।

আগামীকাল পড়ুন: নারীদের চোখের ফোলা