ডিজিটাল হলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ১৩০ সেবা

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
ফাইল ছবি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ১৩০টি সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সরকারের মাইগভ প্ল্যাটফর্মের আওতায় গতকাল রোববার ২৭ সেপ্টেম্বর অনলাইনে সেবাগুলো উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ভিডিও সম্মেলনে তিনি বলেন, মাইগভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এখন থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ মাউশির সঙ্গে যুক্ত সবার সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত ও সহজ হবে। নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে নাগরিক সেবাকে আরও সহজ করা হবে।

ডিজিটাল রূপান্তর করায় মাউশির সেবাগুলোর জন্য আবেদন, লেনদেন, অগ্রগতি জানা, প্রয়োজনীয় নথি জমা এবং অন্যান্য কাজ মাইগভ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ, ৩৩৩ নম্বরে কল করে অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে করা যাবে। আবার সেবাদাতাও এক জায়গা থেকে সব সেবা দিতে পারবেন। আর প্রয়োজনীয় নথি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। মাইগভের মাধ্যমে মাউশির ১১৫টি সেবা ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া, অধিদপ্তরের ইএমআইএস সিস্টেমকে যুক্ত করায় এর সঙ্গে রয়েছে আরও ১৫টি সেবা।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
ফাইল ছবি

মাইগভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবাগুলো ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা হয়। পরিচয়, ই-নথি, একসেবা, বিএনডিএ, একপে ইত্যাদির সমন্বয়ে মাইগভ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) কর্মসূচি।

উদ্বোধনী আয়োজনে ভিডিও সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম যুক্ত ছিলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইয়ের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মোহাম্মদ আরফে এলাহী। স্বাগত বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে ১৭৮টি সেবা নিয়ে মাইগভ প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সেবাগুলো পর্যায়ক্রমে এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ। তিনি বলেন, মাউশির সেবাগুলো ডিজিটাইজেশনের ফলে সারা দেশের শিক্ষা পরিবারের সেবাগ্রহীতারা হয়রানিমুক্ত সেবা পাবেন। এর মাধ্যমে যেকোনো নথির আদানপ্রদান ও লেনদেন অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব। সেবাগুলোর সঙ্গে ‘পরিচয়’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের কাজটাও করা যাবে।