ডেঙ্গুজ্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষকের মৃত্যু

সাঈদা নাসরিন
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর নাম সাঈদা নাসরিন (৩৫)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

সাঈদা নাসরিন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বুধবার ভোরে তিনি মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।

পরিবারের বরাত দিয়ে প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, সাঈদা নাসরিনকে গত সোমবার ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। তারপর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ ভোরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২০ জুন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাঈদা নাসরিন। রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ অত্যন্ত কমে যাওয়ায় ২১ জুন তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর কিডনিসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। গত সোমবার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ সকালে সাঈদা নাসরিনের মরদেহ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে ঝিকিরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাঈদা নাসরিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারের স্ত্রী। তাঁদের এক শিশুপুত্র আছে।

সাঈদা নাসরিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পান। এ ছাড়া ৩২তম বিসিএসেও তিনি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সাঈদা নাসরিনের অকালমৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’