ঢাকায় 'নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান' আসমানী রিমান্ডে

আসমানী খাতুন
আসমানী খাতুন

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ‘নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান’ আসমানী খাতুনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

আসমানী খাতুনকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহমেদ মতিঝিল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। আসমানীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর খানাপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম শামসুল হক।

পুলিশ আসমানীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

মামলার এজাহারে পুলিশ কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ বলেন, তাঁরা গোপন সূত্রে সংবাদ পান, নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধানসহ কয়েকজন কমলাপুর এলাকায় গোপন বৈঠক করবেন। পরে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে কমলাপুরের একটি আবাসিক হোটেলের সামনের ফুটপাতে তিন থেকে চারজন নারীকে সলাপরামর্শ করতে দেখা যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই নারীরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় দুজন নারী কনস্টেবলের সহায়তায় আসমানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসমানী জানান, দেশে খিলাফত ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাঁরা একত্র হয়েছেন। আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে আবু মোহাম্মদ, আবির চৌধুরী, মেহেদী হাসান ও আবু দুজানার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছিলেন আসমানী।