ঢাবির পিএইচডি থিসিস কীভাবে পরীক্ষা হয়: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জমা দেওয়া পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ (থিসিস) কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং থিসিস পরীক্ষায় (যাচাই–বাছাই) সফটওয়্যার বা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কি না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে গত বছরের ২১ জানুয়ারি প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে জালিয়াতির মাধ্যমে পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রি অর্জন রোধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়, সে বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ৬০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

আরও পড়ুন

আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী মো. মনিরুজ্জামান নিজেই শুনানি করেন। ইউজিসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার প্রথম আলোকে বলেন, ইউজিসির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে ও কার্যক্রম চলছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চাওয়া হয়। আদালত দুই মাস সময় মঞ্জুর করেছেন।

ইউজিসির প্রতিবেদনের ভাষ্য, দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব আইন, বিধিবিধান ও ব্যবস্থাপনায় পিএইচডি সমমানের ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। এ ধরনের ডিগ্রি প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কোনোরূপ ভূমিকা পালন করে না বা পালন করার সুযোগ নেই। অন্যদিকে দেশে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তার মধ্যে ৯৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কমিশন থেকে দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডি বা সমমানের কোনো ডিগ্রির প্রোগ্রাম, কোর্স, সিলেবাস বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।