তদন্ত কর্মকর্তা করোনায়, থেমে আছে শফিকুলকে খোঁজার কাজ

শফিকুল ইসলাম
শফিকুল ইসলাম

অপহৃত  ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে খোঁজার দায়িত্ব ছিল চকবাজার থানার  উপপরিদর্শক লোকমান হোসেনের। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত  শফিকুলকে খোঁজার কাজে অগ্রগতি নেই। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বুধবার প্রথম আলোকে এ কথা জানান।

শফিকুল  নিখোঁজ হওয়ার পর এ পর্যন্ত একবার তাঁর সঙ্গে থাকা মুঠোফোনটি চালু হয়। মওদুদ  হাওলাদার বলেন, ৯ এপ্রিল তাঁর ফোনটি চালু হয়েছিল, অবস্থান দেখাচ্ছিল  বেনাপোলে। তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) লোকমান হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত  হওয়ায় তাঁরা এগোতে পারছেন না। তথ্য সংগ্রহের জন্য অনেক পক্ষের  সম্পৃক্ততা জরুরি, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কিছু পরিস্থিতির কারণে তাঁরা  সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

গত ১০ মার্চ সন্ধ্যে ৭টার দিকে শফিকুল ইসলাম  হাতিরপুলে তাঁর কার্যালয় থেকে বের হবার পর থেকে নিখোঁজ। তিনি নিখোঁজ হওয়ার  আগের দিন সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর শফিকুলসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা  নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তিনি নিখোঁজ হওয়ার  ঘন্টা তিনেক পর তাঁর বিরুদ্ধে  হাজারিবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি হয় । ওই মামলার বাদী যুব মহিলা লীগ নেত্রী ইয়াসমীন আরা বেলী।

চলতি  বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া গ্রেপ্তারের  পর থেকে শফিকুল ইসলাম ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন  নেতার সঙ্গে যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের ছবি প্রকাশ করে আসছিলেন। এ নিয়ে  তাঁর বিরুদ্ধে যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা ক্ষিপ্ত হন। নিখোঁজ হওয়ার আগেও  শফিকুলের সঙ্গে যুব মহিলা লীগের দুজন নেত্রীর যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে  পরিবার। পরিবারের আশঙ্কা, শফিকুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় তাঁর এসব লেখালেখির  একটা ভূমিকা থাকতে পারে।

শফিকুল হাতিরপুলের যে জায়গা থেকে নিখোঁজ  হন, সে জায়গাকে কেন্দ্র করে ছয়-সাতজন ব্যক্তির তৎপরতা ধরা পড়ে সিসি  ক্যামেরায়। পুলিশ তাদের শনাক্ত করার কোনো চেষ্টা চালায়নি। এমনকি অপহরণ মামলা  করতে গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ১৮ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে থানা মামলা  নেয়।