তাঁতের শাড়ি, থ্রি-পিস ও ফতুয়া বিক্রি বেশি

সিরাজগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। বিভিন্ন বিপণিবিতানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। বিপণিবিতানগুলো ঘুরে পছন্দের কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। ছবিটি গত সোমবার শহরের এস এস সড়কের একটি বিপণিবিতান থেকে তোলা l প্রথম আলো
সিরাজগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। বিভিন্ন বিপণিবিতানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। বিপণিবিতানগুলো ঘুরে পছন্দের কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। ছবিটি গত সোমবার শহরের এস এস সড়কের একটি বিপণিবিতান থেকে তোলা l প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জ জেলা শহরসহ নয়টি উপজেলা সদর এবং গুরুত্বপূর্ণ থানা ও ব্যবসাকেন্দ্রগুলোতেঈদের বাজার জমে উঠেছে। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের পোশাক এবং জুতার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।

শহরের ফুটপাত এবং পৌরসভা পরিচালিত নিউমার্কেট ও হকার্স মার্কেটেও কেনাবেচা চলছে।

সিরাজগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান বিপণিবিতানগুলোর মধ্যে এস এস রোডের মেলা, মাহবুব শপিং সেন্টার, সাইফুল ইসলাম অ্যান্ড ব্রাদার্স, শামীম ক্লথ স্টোর, উৎসব, কারু সমন্বয়, রাজধানী শপিং সেন্টার, জামান কমপ্লেক্স, মেহমান, স্বপ্নিল কমপ্লেক্স, এ বি সুপার মার্কেটে এবার ঈদের পোশাকের বিপুল সমাহার ঘটেছে।

গত সোমবার শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের পোশাকের চাহিদা বেশি। পোশাকের মধ্যে বাহুবলী,সাহারা, লং ফ্রক, লেহেঙ্গা, কাপ্তান, মেহরিমা সুলতানা, হুররম সুলতানা, রাখি বন্ধন, লীলাবতী, পদ্মাবতী ইত্যাদি নামের থ্রি-পিস ও টু-পিস বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। বাহুবলী, সাহারা, লেহেঙ্গা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুদের হালকা রঙের সুতির জামা, ফতুয়া এবং পাঞ্জাবিও বিক্রি হচ্ছে। হাতের কারুকাজ করা, এমব্রয়ডারি ও অ্যাপ্লিকের কাজ করা এবং ব্লক ও বুটিকের কাজ করা পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।

নামীদামি দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান ও ফুটপাতে শিশুদের পছন্দের পোশাকও ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ভারতীয় জর্জেট ও সিল্কের থ্রি-পিস ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, এনায়েতপুর এবং সিরাজগঞ্জ সদরের তাঁতিদের তৈরি সুতি শাড়ির চাহিদা বেড়েছে। ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এসব শাড়ি।

তবে এবার শিশুদের ফতুয়া ও পাঞ্জাবি এবং হাতের কাজ করা থ্রি-পিস এবং দেশি তাঁতের শাড়ি বিক্রির শীর্ষে রয়েছে।

জুতার দোকানগুলোতে এসেছে নানা রকমের জুতা ও স্যান্ডেল। তবে এবার দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে।

ভাঙ্গাবাড়ি থেকে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে আসা রেশমা পারভীন নামের এক নারী বলেন, ‘এবার ঈদ সামনে রেখে সব ধরনের উন্নত মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। কিনতেও স্বচ্ছন্দবোধ করছি।’

সয়াধানগড়া থেকে আসা ইসরাত জাহান বলেন, দোকানগুলোতে পোশাকের কমতি না থাকলেও দাম বেশ চড়া মনে হচ্ছে।

বেচাকেনা কেমন হচ্ছে–এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জের মেলা বিপণিবিতানের স্বত্বাধিকারী ফেরদৌস রবিন প্রথম আলোকে বলেন, রোজার প্রথম ১০ দিন কোনো বেচাকেনা হয়নি। তবে এখন বেচাকেনা খুবই ভালো হচ্ছে। বেচাকেনা ভালো হলেও প্রথম দিকের ধাক্কা পুষিয়ে নিতে দোকানমালিকদের বেশ বেগ পেতে হবে।