তাঁদের তৈরি মাস্ক মৈত্রীবন্ধনে সহায়তা করবে

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের দুটি স্ট্যাম্প, স্মৃতিসৌধ, দোতারা, লুডু খেলা, মসলাবাটা, আলপনাসহ বাংলাদেশকে চেনা যায়, এমন অনেক কিছুর ছবি জায়গা পেয়েছে মাস্কে। একইভাবে মাস্কে থাকবে জাপানকে চেনা যায়, তেমন কিছু ছবি। এতে কিছুটা হলেও বাংলাদেশ-জাপান মৈত্রীবন্ধন আরও দৃঢ় করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন ওই মাস্কের উদ্যোক্তারা।


শিল্পী সাদিয়া শারমিন, আনিসুর রহমান আর হিরো তাকাহাসির মাস্ক তৈরির এ উদ্যোগের নাম মিতারা। মিতা বা বন্ধু থেকে মিতারা নামটা দেওয়া। আর জাপানি ভাষায় মিতারা বলতে ‘চাইলে দেখতে পারেন’—এ ধরনের একটি অর্থ প্রকাশ করছে। অর্থাৎ বন্ধুদের উদ্যোগটি চাইলে যে কেউ একটু দেখতেই পারে। উদ্যোগটি শুরু হয়েছে মাত্র কয়েক মাস আগে। মাস্কের দাম ১৬০–১৯০ টাকা।

ছবি: সংগৃহীত

আনিসুর জাপানে ছিলেন ১৫ বছর, সেখানে ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনা করেছেন। অন্যদিকে হিরো তাকাহাসির বাবা বাংলাদেশি আর মা জাপানের নাগরিক। আনিসুরের সূত্রে হিরো তাকাহাসির সঙ্গে সাদিয়ার বন্ধুত্ব। বাংলাদেশকে নিজের দেশ বলেই মনে করেন এবং যেহেতু উদ্যোগটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ থেকে তাই হিরো তাকাহাসির ইচ্ছাতেই মাস্কে প্রথম জায়গা পেয়েছে দেশের নানা ছবি। করোনায় আটকে গিয়ে হিরো তাকাহাসি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করা অবস্থাতেই সাদিয়া রাজধানীর নাখালপাড়ায় গড়ে তুলেছিলেন বাচ্চাদের আর্ট শেখানোর স্কুল মনসিজ আর্ট একাডেমি।

ছবি: সংগৃহীত

তিন বন্ধুর এ উদ্যোগ নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে কথা হয় সাদিয়া শারমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, মনসিজ স্কুলের মুহিত, মাইশা, সানজিদা, তাহিয়া ও তাসকিনাকেও মাস্ক বানানোর উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় জানানোর জন্যই তাদের যুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজেরাই এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।