তাজউদ্দীন আহমদের একাত্তরের যাত্রা (২)

ভূমিকা: ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারির কোনো একটি দিনে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ অবসর মুহূর্তে বসে ছিলেন তাঁর ঘরের সামনের গোল বারান্দায়। সেখানে কিছু চেয়ার পাতা, যেমন সব সময় থাকে। কী মনে করে সেদিন সহধর্মিণী জোহরা তাজউদ্দীন এবং বড় দুই মেয়ে শারমিন আহমদ রিপি ও সিমিন হোসেন রিমিকেও তিনি ডেকে নিলেন। সামনে বসিয়ে শোনালেন একাত্তরের ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনা। তাজউদ্দীন আহমদের ধানমন্ডির বাড়ির দোতলায় সপরিবার ভাড়া থাকতেন আবদুল আজিজ বাগমার। তিনিও সেখানে উপস্থিত। তিনি লিখে নিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের মৌখিক বর্ণনা। আবদুল আজিজ বাগমার তাঁকে বলেছিলেন, তিনি যেন লিখে ফেলেন মুক্তিযুদ্ধের পুরো ঘটনা। জবাবে তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, একাত্তরের প্রতিদিনের নোট তাঁর কাছে আছে। অবসর পেলেই লিখবেন। কিন্তু সে সুযোগ আর তাঁর ঘটেনি। তাজউদ্দীন আহমদের এই বয়ান তাঁর পরিবারের কাছে সংরক্ষিত ছিল। পরিবারের কাছ থেকে এটি প্রথম আলো সংগ্রহ করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে দুই পর্বে এই লেখার দ্বিতীয় কিস্তি আজ।

একাত্তরে মুক্তাঞ্চল পাটগ্রামে তাজউদ্দীন আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

২৮ মার্চ ১৯৭১

সকালে আবদুল আজিজ মণ্ডল মোটরসাইকেল নিয়ে এলেন। স্থানীয় এমপি এ সুবেদ আলী টিপুর বাসায় গেলাম। সেখানে কথাবার্তার পর খেয়ে আবার বেরিয়ে পড়লাম। এবার জয়পাড়া পৌঁছালাম। আশরাফ আলী চৌধুরীর বাড়িতে গেলাম। সেখান থেকে পদ্মাপাড়ে উপস্থিত হলাম। কিন্তু রুপালি পদ্মা তখন উত্তাল মূর্তি ধারণ করে লহরির পর লহরি তুলে আঘাত করছে। প্রচণ্ড ঝড়। পদ্মা পার হওয়ার কোনো ব্যবস্থাই হলো না। অবশেষে স্থানীয় তাঁতের ব্যবসায়ী শুকুর মিঞার বাড়িতে রাতটা কাটাতে হলো। শুকুর মিঞা আমাদের আন্তরিক যত্ন করলেন।

২৯ মার্চ ১৯৭১

সকালে নৌকায় পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি। নাড়ারটেক পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা লাগল। এই তিন ঘণ্টায় আমার মনে জেগে উঠল রুপালি পদ্মার বিচিত্র ভাঙাগড়ার বাস্তব ও জীবন্ত লীলাখেলা। আমি গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করলাম রুপালি পদ্মার বহুমুখী প্রতিভা। ঘাটে পৌঁছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে দেখা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন খবরাখবর জানলাম এবং শুনলাম সেনাবাহিনী তখনো ফরিদপুরের আশপাশে আসেনি। এই ঘাট থেকে ফরিদপুর শহর তিন মাইল। জায়গাটা নিরাপদ নয়। যেকোনো মুহূর্তে সেনাবাহিনী এসে যেতে পারে, তাই সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। দ্রুত যাওয়ার যানবাহন নেই।

এখানে ঘোড়ায় চলাচলের ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। সৌভাগ্যক্রমে ঘোড়া পাওয়া গেল। ঘোড়ায় চড়ে আমরা শহরের উপকণ্ঠে গিয়ে শহরে ঢুকলাম না। শহরে ঢুকলাম রিকশায় করে। এমনটি করার কারণ ছিল, যাতে আমরা চিহ্নিত না হয়ে যাই। বেলা ১টা ৩০ মিনিটে আওয়ামী লীগের কর্মী ইমামউদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছালাম। তিনি বাড়ি ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী হাসি আমাদের খেতে বসালেন। খেতে বসার একটু আগে রেডিওতে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনলাম।

খাওয়া তখনো হয়নি, এমন সময় খবর ছড়িয়ে পড়ল, কামারখালী দিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা এগিয়ে আসছে। তাই আবার পথে বেরিয়ে পড়লাম। পথে রাজবাড়ীর এসডিও শাহ মহম্মদ ফরিদের সঙ্গে দেখা। তিনি খবর দিলেন সীমান্ত ভালো আছে। রিকশা নিয়ে আবার পথ চলতে শুরু করলাম। কিন্তু পথ বন্ধ। মুক্তিকামী বাঙালি ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা সমস্ত পথে বড় বড় গাছ কেটে ব্যারিকেড দিয়েছে। তাই পায়ে হেঁটে কামারখালীতে উপস্থিত হলাম।

সামনে মধুমতী নদী। বৃষ্টি পড়ছে। ভয়ংকর মেঘাচ্ছন্ন, রুদ্রমূর্তি আকাশের। আরোহী অনেক, কিন্তু কোনো নৌকাই নদী পার হতে রাজি হচ্ছে না। এক বৃদ্ধ মাঝি ওপারে বাড়ি, তাঁকে অনেক বলেকয়ে রাজি করানো হলো। মধুমতী নদী পার হয়ে আবার সেই চলা। রাত আড়াইটায় মাগুরায় পৌঁছালাম। সামনে খাল। আওয়ামী লীগ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ছেলেরা সযত্নে খাল পাহারা দিচ্ছে। দুজন করে খাল পারের ব্যবস্থা করছে এবং প্রত্যেককেই তল্লাশি করছে। আওয়ামী লীগের কর্মী ওয়াহেদ মিঞা আমাকে চিনে ফেলল। যখন খাল পার হলাম, রাত তখন তিনটা। রিকশায় করে সোহরাব হোসেনের বাড়িতে গেলাম। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর ভাগিনা বাবু আমাদের নিয়ে আবার নদী পার করে সোহরাব হোসেনের কাছে নিয়ে গেল। আমাকে দেখে সোহরাব হোসেন অবাক এবং সঙ্গে সঙ্গে উৎসাহিত হলেন।

৩০ মার্চ ১৯৭১

সকালে আবার পথ চলতে শুরু করলাম। এবার সোহরাব হোসেনের সহযোগিতায় একটি জিপ পাওয়া গেল। গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ দিয়ে জিপ এগিয়ে চলল। পথের দুই ধারে বাংলার নববসন্তের অপূর্ব শোভা, মায়াভরা বাংলারই প্রতিচ্ছবি বিরাজমান। অনুভূতির স্তরে স্তরে বারবার মনের কোণে উঁকি দিচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের চিরন্তন সৃষ্টি, ‘পায়ে চলার পথ’-এর কথা, ‘এ পথ যে চলার পথ, ফেরার পথ নয়।’ কিন্তু আমি যেন মনে মনে বলেছি, কবিগুরু, এ পথেই যে আমাদের ফিরে আসতে হবে। না হলে তুমি, এই শাশ্বত বাংলা ধরণির ধুলায় বিলীন হয়ে যাবে।

১০টা ৩০ মিনিটে ঝিনাইদহে উপস্থিত হলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এম এ আজিজ ও এসডিপিও মাহবুবের সঙ্গে দেখা হলো। স্থানীয় খবরাখবর আদান-প্রদান হলো। এম এ আজিজ আমাকে একটি লুঙ্গি দিলেন। সেই লুঙ্গি পরে এবার আমরা চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দিলাম। চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছে মেজর ওসমানকে সংবাদ পাঠালাম। ইতিমধ্যে সংসদ সদস্য ডা. আসহাব-উল হক (জোয়ার্দার), আফজালুর রশীদ বাদলসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হয়। সীমান্তের আরও নিকটবর্তী হওয়ার জন্য আমরা জীবননগর থানায় পৌঁছাই।

আমাদের দুজনের সঙ্গে ছিলেন এসডিও তৌফিক-ই-এলাহী (চৌধুরী) এবং মাহবুব (উদ্দিন আহমেদ)। সেখানে টঙ্গীর খালের ওপর এক কালভার্টের কাছে যাই। তৌফিক ও মাহবুব আমাদের খবর নিয়ে সীমান্তের ওপারে গেছেন। আমীর-উল ইসলাম ও আমি ওই কালভার্টের ওপর বসে থাকি। কী খবর আসে, সেই অপেক্ষায়। আমি ভেবে নিয়েছি, সিগন্যাল যদি বাংলার স্বাধীনতার পরিপন্থী আসে, তবে ওপারে যাব না। সীমান্তের ওপারে গিয়ে জীবন বাঁচিয়ে লাভ নেই। দেশের ভেতরে থেকেই যা কিছু আছে, তা-ই নিয়ে সংগ্রাম অব্যাহত রাখব। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, এই ন্যায়ের সংগ্রামে, বাঙালির অস্তিত্বের সংগ্রামে বিশ্ববাসীর নৈতিক সমর্থন আমরা পাবই।

নানা কিছু ভাবতে ভাবতে ক্লান্তিতে আমি ঘুমিয়েই পড়েছিলাম। হঠাৎ ড্রাইভার এসে সংবাদ দিল, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একজন অফিসার এসেছেন। সেই অফিসার আমাদের স্যালুট করলেন। বললেন, ডিআইজি গোলক মজুমদার সীমান্তের ওপারে অপেক্ষায় আছেন। পায়ে হেঁটে আমরা সীমান্ত অতিক্রম করলাম। গোলক মজুমদার জানালেন, তিনি দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে এসেছেন। আলোচনার সংকেত পাওয়া গেল। ভবিষ্যৎ ভবিষ্যতেরই হাতে।

গোলক মজুমদার সরাসরি দমদম বিমানবন্দরে নিয়ে গেলেন। সেখানে গোলক মজুমদার আমাকে একখানা চশমা এনে দিলেন, যেটার প্রয়োজন ছিল সবচেয়ে বেশি। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আইএএফের বিমান এল দিল্লি থেকে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক রুস্তমজি রাজা গোপাল এসে আমাদের স্বাগত জানালেন। একসঙ্গে গাড়িতে করে রাত দেড়টায় অসম ভবনে পৌঁছালাম।
এত দিন দাড়ি কামানো হয়নি। কাপড়চোপড় ছেঁড়া-ময়লা। রুস্তমজি আমাদের দুজনকে পায়জামা-পাঞ্জাবি দিলেন পরতে। তাঁর আতিথেয়তায় খাবার শেষে সেই রাতেই আমাদের কথাবার্তা শুরু হলো।

৩১ মার্চ ১৯৭১

সকালে শরদিন্দু চট্টোপাধ্যায় ও নিরাপত্তা অফিসার সৌমেন চট্টোপাধ্যায় এলেন। গোলক মজুমদারসহ আমরা আবার টঙ্গীর সীমান্তে ফিরে গেলাম। গোলক মজুমদার আমাকে একটি এলএমজি উপহার দিলেন। আমি সেই এলএমজিটি মেজর আবু ওসমানের হাতে তুলে দিয়ে বললাম, ‘আপনি সামলাবেন এটা।’ এবং তখনই সুবেদার মজিবুর রহমানকে এলএমজি করায়ত্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো। এই সময় গোলক মজুমদার আমাকে উদ্দেশ করে ইংরেজিতে বললেন, ‘ইউ উইল উইন।’

এরপর সাতক্ষীরা থেকে আগরতলা পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রহণ করার জন্য খবর পৌঁছে দিতে অনুরোধ করলাম এবং ব্যক্তিগতভাবে হিঙ্গলগঞ্জ, টাকী, হাসনাবাদ প্রভৃতি সীমান্ত এলাকায় সফর করলাম আওয়ামী লীগ নেতাদের খোঁজে।

১ এপ্রিল ১৯৭১

রাত দুইটায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হলাম। বিমানবন্দরে প্রটোকল অফিসার শাহি আমাদের স্বাগত জানালেন। ৮৭/বিডিসি নম্বর বাড়িতে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো।

২ এপ্রিল ১৯৭১

দিল্লিতে রেহমান সোবহান, ড. আনিসুর রহমান, এম আর সিদ্দিকী, সিরাজুল হক প্রমুখের দেখা পেলাম।

৩ এপ্রিল ১৯৭১

রাত ১০টায় সফদার জং রোডের বাড়িতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আমার দেখা হয়। সেখানে আরও যাঁরা সঙ্গে ছিলেন তাঁরা হলেন রুস্তমজি, পি এন হাকসার, মি. রাম এবং কর্নেল মেনন। এই আলোচনার আগেই সমস্ত পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে আমাদের সরকার গঠন করতে হবে।

৪ এপ্রিল ১৯৭১

পি এন হাকসার এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আরও কয়েকজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

৫ এপ্রিল ১৯৭১

সরকার গঠনের ঐতিহাসিক বিবৃতি ও দলিল লেখা শেষ হয়। এই লেখায় আমার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম এবং অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

৬ এপ্রিল ১৯৭১-১৭ এপ্রিল ১৯৭১

বিবৃতি ও দলিলের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন হয়। ৮ এপ্রিল সরকার গঠনসম্পর্কিত বিবৃতি আমার কণ্ঠে রেকর্ড করা হয়।

৯ এপ্রিল আমি এবং ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার নগেন্দ্র সিংকে সঙ্গে নিয়ে একটি বিশেষ বিমানে সীমান্তবর্তী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাদের খোঁজে বেরিয়ে পড়ি। এই দিন মনসুর আলী ও কামারুজ্জামান এসে পৌঁছেন কলকাতা।

১০ এপ্রিল সরকার গঠনের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সমন্বিত আমার বিবৃতি রাতে বেতারযোগে প্রচারিত হয়।

১১ এপ্রিল আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত আকাশবাণী থেকে পুনঃপ্রচার করে। ১১ এপ্রিল ময়মনসিংহের তুরা এলাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলামের খোঁজ পেলাম। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সেদিনই রাত আটটায় আগরতলায় গেলাম। আগরতলায় খন্দকার মোশতাক আহমদ, কর্নেল এম এ জি ওসমানীসহ অন্য আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে পেলাম।

আগরতলায় এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলো চুয়াডাঙ্গায় গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ১৪ এপ্রিল প্রকাশ্যে শপথ গ্রহণ করবেন। সেখানেই (চুয়াডাঙ্গাতেই) রাজধানী স্থাপন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাজকর্ম পরিচালনা করা হবে। আমি ঠিক করলাম, এ রাজধানীর নাম হবে ‘মুজিবনগর’।

কিন্তু একজন সহকর্মীর অসাবধানতার জন্য সেই সিদ্ধান্ত সংবাদপত্রে প্রচারিত হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি বাহিনী চুয়াডাঙ্গার সেই নির্দিষ্ট স্থানে প্রবল বোমাবর্ষণ করে। পরে আবার খুব গোপনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় চুয়াডাঙ্গার পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

এই বৈদ্যনাথতলার আম্রকুঞ্জে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ শত শত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক এবং হাজার মানুষের সামনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হলো। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাঁর বক্তৃতা দেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি। তারপর আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বক্তৃতা করি। দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিই।