তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ । ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ । ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে সাত দিনের সরকারি সফরে কাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ত্যাগ করবেন।

আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসসকে এ কথা জানান।

জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘মধ্য এশিয়ার দুটি দেশে সাত দিনের এই সফর চলাকালে রাষ্ট্রপতি তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি ১৬ জুন উজবেকিস্তান সফরও শুরু করবেন।’ তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী রাশীদা খানমসহ সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট কাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে।

রাষ্ট্রপতি ১৫ জুন দুশানবেতে সিআইসিএ সম্মেলনে তাঁর ভাষণ দেবেন। এ কথা জানিয়ে জয়নাল আবেদিন বলেন, ১৯ জুন তিনি দেশে ফিরে আসবেন।

সিআইসিএ হচ্ছে এশিয়ার শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে সহযোগিতা জোরদারের একটি বহুদেশীয় ফোরাম।

সিআইসিএর উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে এশিয়ার সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় বাণিজ্য জোরদার-অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং অবৈধ মাদক নির্মূল করা।

জয়নাল আবেদিন বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পঞ্চম সিআইসিএ শীর্ষ সম্মেলনে তাঁর ভাষণে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরবেন।

সিআইসিএর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র হচ্ছে আফগানিস্তান, আজারবাইজান, বাহরাইন, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, মিসর, ভারত, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মঙ্গোলিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, কাতার, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।

সিআইসিএর আটটি পর্যবেক্ষক দেশ আছে, সেগুলো হচ্ছে বেলারুশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, লাওস, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘসহ পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সিআইসিএর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম), অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো–অপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই), লিগ অব আরব স্টেটস অ্যান্ড পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অব দ্য তুর্কি স্পিকিং কান্ট্রিজ।

সিআইসিএর সেক্রেটারিয়েটের মতে, সিআইসিএর সদস্যদেশগুলোতে এশিয়ার প্রায় ৯০ শতাংশ জনসংখ্যা বসবাস করছে। আসন্ন পঞ্চম সিআইসিএ শীর্ষ সম্মেলনে ২০টি দেশ থেকে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।