তাবলিগ জামাতের ৩৩ জন দেশে ফিরছেন

১-১৫ মার্চ দিল্লির নিজামউদ্দিনে তাবলিগ জামাতের সমাবেশ হয়। এতে অংশ নেওয়া ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তেলেঙ্গানায়
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতে আটকা পড়া তাবলিগ জামাতের অবশিষ্ট ৩৩ জন বাংলাদেশি সদস্য শিগগিরই দেশে ফিরছেন। করোনার আগে ভারতে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে যে ২২৮ জন বাংলাদেশির আটকা পড়েছিলেন, তাঁদেরই অংশ এই ৩৩ জন।

আগামী মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের ঢাকা সফরের আগেই এঁরা দেশে ফিরতে পারবেন বলে আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান। তিনি আরও বলেন, ৩৩ জনের মধ্যে দিল্লিতে তিনজন রয়েছেন। তাঁদের দেশে ফেরার সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। আর উত্তর প্রদেশে থাকা অন্য ৩০ জনের দেশে ফেরার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পথে। মার্চের মধ্যেই এঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

দিল্লির নিজামউদ্দিনে তাবলিগ জামাতের মারকাজে অংশ নেওয়া দুই শতাধিক বিদেশি নাগরিককে ভারত গত বছরের মার্চে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখে। এঁদের মধ্যে ছিলেন তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশি সদস্যরাও। পরে দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাবলিগ জামাতের সমাবেশে ২২৮ জন বাংলাদেশির উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়।

করোনার শুরুর দিকে তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া প্রায় ৯৬০ জন বিদেশি নাগরিককে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারত সরকার তাঁদের ভিসা বাতিল করে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া বিদেশিদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়। পরে বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের সদস্যরা দেশে ফিরতে শুরু করেন।