তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটির যাত্রা শুরু
নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের কাজকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তাঁর নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ‘তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটি’ নামের এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে আগামী তিন বছরের জন্য এর নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী রেজাউল করিম। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এইচ এম মেহেদী হাসান।
গতকাল শনিবার তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে হয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মিলনমেলা। সম্মেলন থেকে সবার সম্মতিতে নির্ধারিত হয় সংসদের নাম, প্রণীত হয় গঠনতন্ত্র এবং গঠিত হয় আট সদস্যের প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে যে কয়জন নির্মাতা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, তারেক মাসুদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৬ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী তারেক মাসুদ ১৯৮২ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে শুরু করেন তাঁর প্রথম প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের কাজ। এটি নির্মাণ করতে লেগেছিল সাত বছর। তাঁর মৃত্যুর ১১ বছর পর নিজের জেলায় গঠিত হলো তাঁর নামে চলচ্চিত্র সংসদ।
সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ‘যে যাত্রা শুরু হলো তাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে হাঁটতে হবে অনেক দূর। তরুণপ্রাণ কর্মঠ চলচ্চিত্রপ্রেমীরা যুক্ত হওয়ায় আমরা আশাবাদী।’ আর মেহেদী হাসান বলেন, ফরিদপুরে চলচ্চিত্র সংসদ দীর্ঘদিন ধরে মুখ থুবড়ে আছে। তাই নতুন করে আন্দোলনকে চাঙা করতে যাত্রা শুরু করল তারেক মাসুদ ফিল্ম সোসাইটি।
তিন বছরের জন্য নির্বাচিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি লিয়াকত হিমু, সহসাধারণ সম্পাদক সুজিত হাসান শোভন, কোষাধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম খান, সদস্যরা মো. তাসিনুল করিম প্রত্ন, মো. আসিফ খান তামিম ও তাওসিফ করিম প্রাচ্য। সম্মেলন শেষে প্রদর্শিত হয় মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত তারেক মাসুদের শর্টফিল্ম ‘নরসুন্দর’।
মাটির ময়নাখ্যাত তারেক মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় মর্মান্তিক ওই সড়ক দুর্ঘটনায় একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন সাংবাদিক মিশুক মুনির।