তাৎক্ষণিক সাত তরুণের চাকরি

ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবে তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: প্রথম আলো
ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবে তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: প্রথম আলো

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্র তৈরির জন্য সরকার কাজ করছে। এসব ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে চাকরি দেওয়ার জন্য বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। এ জন্য তরুণ সমাজকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

রাজশাহীতে গতকাল রোববার আয়োজিত ‘ক্রাউন সিমেন্ট-প্রথম আলো তারুণ্যের জয়োৎসবে’ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। উৎসবে তাৎক্ষণিকভাবে সাত তরুণকে কাজী আইটি সেন্টারে চাকরির ঘোষণা দেওয়া হয়।

রাজশাহী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে সকাল সাড়ে নয়টার তারুণ্যের জয়োৎসবের উদ্বোধন করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান। এরপর কলেজ মিলনায়তনে প্রথম আলো নির্মিত অধিনায়ক ও নায়কেরা তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ক্রাউন সিমেন্ট এবং প্রথম আলো যৌথভাবে সারা দেশে ‘তারুণ্যের জয়োৎসব’-এর আয়োজন করছে।

বেলা ১১টা থেকে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রস্তুতি, উপস্থাপনা ও গণবক্তৃতার কৌশল এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ’ শিরোনামে পৃথক তিনটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপের উপদেষ্টা এ মজিদ চৌধুরী, কাজী আইটি সেন্টারের প্রধান নির্বাহী মাইক কাজী, ক্যাম্পাস টু করপোরেটের পরামর্শক হোমায়রা শারমিন, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক কানিজ ফাতেমা, করপোরেট ট্রেনার গোলাম সামদানী ডন, এডুকেশন ইউএসের আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর রুহুল আমিন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইডেভসের সহপ্রতিষ্ঠাতা নিজাম উদ্দিন, টেককেয়ার টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী সলেহীন সাগর, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক ফিরোজ চৌধুরী এবং রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিতাই কুমার সাহা।

রাজশাহীতে তারুণ্যের জয়োৎসবে অংশগ্রহণকারী তরুণেরা। গতকাল রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে।  ছবি: প্রথম আলো
রাজশাহীতে তারুণ্যের জয়োৎসবে অংশগ্রহণকারী তরুণেরা। গতকাল রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে। ছবি: প্রথম আলো

বক্তারা বলেন, তারুণ্যের অমিয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তারুণ্যের শক্তিই পারে পথকে নিজের দিকে ঘোরাতে, নিজেই নিজের কর্মসংস্থান গড়তে। এ জন্য নিজেকে দক্ষ ও সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ইংরেজি ভাষার চর্চা।

ক্রাউন সিমেন্টের উপদেষ্টা এ মজিদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষাজীবনকে ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রের ভিত্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সততা, নিষ্ঠা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রয়োজন।

উৎসবে কাজী আইটির বুথে দেড় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মাইক কাজী যোগ্যতা যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে সাত তরুণকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দেন।

১৯৯২ সালের অলিম্পিকের একটি ঘটনা নিয়ে নির্মিত ডেরেক রেডমন্ডের একটি প্রেরণদায়ী ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে উৎসব শেষ হয়। এই ভিডিও চিত্রের বার্তা হলো, পড়ে গেলেও উঠে দাঁড়ানো যায়।