তিন উপজেলার ২২০ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেনা মোতায়েন

গাজীপুরের কাপাসিয়া এবং ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ২৯৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ২২০টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এসব কেন্দ্রসহ তিনটি উপজেলায় পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজেপি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রথম পর্বে কাল বুধবার দেশের ৯৭টি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে কাপাসিয়া, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলাও রয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা গতকাল ব্যস্ত সময় পার করেন।
কাপাসিয়া নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার ১১৭টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হবে। এসব সরঞ্জাম গোছাতে গতকাল ব্যস্ত সময় পার করেন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ইতিমধ্যে এসব বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
কাপাসিয়ায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি-সমর্থিত একজন এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত একজন ও দলটির ‘বিদ্রোহী’ এক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন লড়ছেন। উপজেলায় নারী-পুরুষ মিলে দুই লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ জন ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আলী জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ সকাল ১০টা থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, উপজেলার ১১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬২টিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৩৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও বাকিগুলোকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জন করে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্য এবং বাকি কেন্দ্রগুলোতে ১৫ জন করে সদস্য মোতায়েন থাকবে।
দোহারে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নবাবগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন।
দোহারের ৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি ও নবাবগঞ্জের ১০২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বেশির ভাগই পড়েছে দোহারের নারিশা, মোকসেদপুর, কুসুমহাটি ও বিলাশপুর ইউনিয়নে। আর নবাবগঞ্জে প্রার্থীদের বাড়ির কাছের কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
দোহার থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সায়েদুর রহমান বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।