তিন বছর পর চিত্রনায়িকা অন্তরার মরদেহ উত্তোলন
আজিমপুরের পুরোনো কবরস্থান থেকে চিত্রনায়িকা পারভীন আক্তার লাকী ওরফে অন্তরার (৩৩) দেহাবশেষ কবর থেকে তোলা হয়েছে।
দাফনের তিন বছর পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আদালতের নির্দেশে দেহাবশেষ তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্তরার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। মামলাটি করেছিলেন অন্তরার মা আমেনা খাতুন।
গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত অন্তরার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
পরে গতকাল দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও আমেনা বেগমের উপস্থিতিতে অন্তরার
কবর থেকে ৬৭টি হাড় ও মাথার খুলি তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের জন্য এগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজে আনা হয়।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৬ মে অন্তরা ও শফিকুলের বিয়ে হয়। তাঁরা বড় মগবাজার এলাকায় থাকতেন। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি অন্তরা অসুস্থ হলে তাঁকে কাকরাইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এই দম্পতির একটি ছেলে আছে। অন্তরার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলা সদরের চরপুয়া গ্রামে এবং শফিকুলের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায়।
লাশ উত্তোলনের তথ্য নিশ্চিত করে এ-সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে কি না, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
তবে তিন বছর পর মৃতদেহ উত্তোলন করে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে চিকিৎসকেরা সংশয় প্রকাশ করেছেন। একজন চিকিৎসক প্রথম আলোকে বলেন, এত দিনে সব আলামতই নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা।