দাশিয়ার ছড়ায় উড়ল বাংলাদেশের পতাকা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে দাশিয়ার ছড়ায় আজ শনিবার সূর্যোদয়ের পর ওড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। ছবি: প্রথম আলো
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে দাশিয়ার ছড়ায় আজ শনিবার সূর্যোদয়ের পর ওড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটমহল বিনিময়ের পর আজ শনিবার সূর্যোদয়ের পরপরই কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে দাশিয়ার ছড়ায় ওড়ানো হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
পতাকা উত্তোলন করেন ফুলবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসির উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির বাংলাদেশ অংশের সভাপতি মইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে সাবেক ছিটমহল দাশিয়ার ছড়ায় শত শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর আনন্দে মেতে ওঠে। ছড়িয়ে পড়ে উল্লাস। মুহুর্মুহু করতালি ও স্লোগানে আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে যায় মুক্তির বারতা।
নতুন দেশ, নতুন পতাকা, নতুন জাতীয়তা, স্বাধীন পরিচয়—পাওয়া উপলক্ষে আজ সকাল ১০টার দিকে দাশিয়ার ছড়ার বিজয়মঞ্চে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ মো. জাফর আলী।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তির পর গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় হয়েছে দুই দেশের মধ্যে থাকা ১৬২টি ছিটমহল। ভারতের ভেতর ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহল ও বাংলাদেশের ভেতর ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল বিনিময় হওয়ার ফলে বাংলাদেশের ভেতর থাকা ছিটমহলবাসীরা পেয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আর ভারতের ভেতর থাকা ছিটমহলবাসীরা পেলেন ভারতের নাগরিকত্ব। 

মুক্তির ঐতিহাসিক দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে সমন্বয় কমিটি দাশিয়ার ছড়ার বিভিন্ন প্রান্তে ২৫টি তোরণ বানিয়েছে। রাতে ১১টি স্থানে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়। আয়োজকেরা জানান, ৬৮ বছরের অন্ধকার কাটিয়ে আলোর পথে যাত্রার শুভমুহূর্ত গতকাল রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে কালীরহাটে। এরপর ৬৮টি পটকা ফুটিয়ে তোপধ্বনি করা হয়।