দায় যাঁদের, শাস্তি তাঁদেরই দিন

একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন ১৮ বছর লেগেছে, কেন বর্জ্য পরিশোধনাগার অকার্যকর, কেন চামড়ার উচ্ছিষ্ট রাস্তায় ফেলা হয়—এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।

পাইপলাইন উপচে ট্যানারির তরল বর্জ্য নালা দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের চামড়াশিল্প নগরে
ছবি: সাইফুল ইসলাম

২০০৩–২০২১; মোট ১৮ বছর। এটি একটি সাধারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ। প্রকল্পটির নাম চামড়াশিল্প নগর।

বাংলাদেশে কোন কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে বারবার মেয়াদ বাড়াতে হয়েছে, দীর্ঘ সময় লেগেছে, সেগুলোর তালিকা করা হলে চামড়াশিল্প নগর প্রকল্পটি শীর্ষ পর্যায়ে থাকবে। তবে দুঃখের বিষয় হলো, যে প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৮ বছর লেগেছে, সেই প্রকল্পের কাজ এখনো বাকি। এমনকি যে উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল, তা মোটেও পূরণ হচ্ছে না।

উদ্দেশ্যটি ছিল, নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা। এখন দেখা যাচ্ছে, বুড়িগঙ্গার পর ধলেশ্বরী দূষণের শিকার হচ্ছে। গত মঙ্গলবার চামড়াশিল্প নগরে গিয়ে দেখা গেল, চার বছর আগের তুলনায় উন্নতি হয়েছে শুধু রাস্তা আর ফটকের। এখন চামড়াশিল্প নগরে ঢুকতেই সুরম্য ফটক। কিন্তু ভেতরে সেই আগের চিত্র—বর্জ্য পাইপলাইন উপচে বৃষ্টির পানিনিষ্কাষণের নালা হয়ে নদীতে গিয়ে পড়ছে। আধা শোধিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। এমনকি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তদারকিতে থাকা সিইটিপি থেকে রাতের আঁধারে তরল বর্জ্য নদীতে ফেলা হয়, যার সচিত্র প্রতিবেদন ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে।

চামড়াশিল্প নগরে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) পাশে কঠিন বর্জ্য ফেলার জন্য যে ‘ডাম্পিং ইয়ার্ড’ নির্মাণের কথা ছিল, যেখানে তৈরি হয়েছে আস্তাকুঁড়। ঠিক হাজারীবাগের মতো দূষিত ও দুর্গন্ধে ভরা পরিবেশ।

বুড়িগঙ্গার পর ধলেশ্বরী দূষণের শিকার হচ্ছে। গত মঙ্গলবার চামড়াশিল্প নগরে গিয়ে দেখা গেল, চার বছর আগের তুলনায় উন্নতি হয়েছে শুধু রাস্তা আর ফটকের। এখন চামড়াশিল্প নগরে ঢুকতেই সুরম্য ফটক। কিন্তু ভেতরে সেই আগের চিত্র—বর্জ্য পাইপলাইন উপচে বৃষ্টির পানিনিষ্কাষণের নালা হয়ে নদীতে গিয়ে পড়ছে। আধা শোধিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে।

এই আস্তাকুঁড়ে গত মঙ্গলবার বর্জ্য ফেলতে গিয়েছিলেন একটি ট্যানারির একজন কর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আস্তাকুঁড়ের পাড় ভেঙে প্রায়ই চামড়ার উচ্ছিষ্টের ঢল নদীতে গিয়ে পড়ে।

আমরা যেদিন চামড়াশিল্প নগরে যাই, সেদিন (মঙ্গলবার) সকালেই একটি মানববন্ধন করে ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়ন। শ্রমিক ইউনিয়নের বক্তব্য হলো, ট্যানারি বন্ধ করা যাবে না। সায়মিক বন্ধ হলেও মালিকপক্ষ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সুযোগ পাবে।

এর আগে জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি গত ২৩ আগস্ট পরিবেশদূষণের দায়ে চামড়াশিল্প নগরের ট্যানারি সাময়িক বন্ধের সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ৯ সেপ্টেম্বর বিসিকের চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে ট্যানারি কেন বন্ধ করা হবে না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়।

এখন যদি দূষণের দায়ে ট্যানারিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে বেকার হবেন হাজার হাজার শ্রমিক–কর্মচারী। ট্যানারিকে দেওয়া ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়বে ব্যাংকগুলো। দেশের চামড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্যশিল্প বড় সংকটে পড়বে।

এতে অবশ্য চামড়াশিল্প নগরে ‘অকার্যকর’ বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কোনো কিছু যাবে আসবে না। তাঁরা জনগণের করের টাকায় নিয়মিত বেতন–ভাতা পেতে থাকবেন। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের অবসর–সুবিধায়ও কোনো কাটছাঁট হবে না। শুধু বন্ধ হবে উদ্যোক্তার শিল্প, শ্রমিকের জীবিকা।

ফিরে দেখা

চামড়া খাতে দূষণ রোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বহু বছর আগে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ১৭৬ ট্যানারিসহ ৯০৩টি কারখানাকে দূষণরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। এরপর ২০০১ সালে হাইকোর্ট পরিবেশদূষণকারী সব শিল্পকারখানাকে দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০০৩ সালে চামড়াশিল্প নগর প্রকল্প নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়, যার বাস্তবায়নকারী সংস্থা ছিল বিসিক। শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৮১ কোটি টাকাই সরকারের অনুদান, জনগণের করের টাকা।

চামড়াশিল্প নগরে ব্যর্থতার দায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী—কাউকে নিতে হয়নি। ট্যানারির মালিকেরা রপ্তানির যে স্বপ্ন দেখে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। তবে বিপাকে পড়েছেন নদীর তীরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, একসময় যে নদীর পানি দিয়ে তাঁরা ভাত রান্না করতেন, এখন তাতে গরুর গোসলও করান না।

শিল্পনগরে বিসিকের দায়িত্ব ছিল শিল্পমালিকদের জমি কারখানা করার উপযোগী করে দেওয়া। বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ করে দেওয়া। এরপর যদি কেউ কারখানা না করেন, পরিবেশ দূষণ করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কোনো ট্যানারি যদি নিয়ম না মানে, সেটা দেখার দায়িত্বও সরকারি সংস্থার। বিসিকের কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব শিল্প মন্ত্রণালয়ের।

গাফিলতি বিসিকের

চামড়াশিল্প নগর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিসিকের গাফিলতি ছিল। বেশি গাফিলতি কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে। চামড়াশিল্প নগর পরিবেশবান্ধব করতে অপরিহার্য অবকাঠামো এই বর্জ্য পরিশোধনাগার। এটি নির্মাণের জন্য ২০১২ সালের ১১ মার্চ একটি চীনা কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয় বিসিক। কাজ শেষে ২৪ মাসের মধ্যে সিইটিপি কার্যকর করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু ২৪ মাসের কাজ শেষ করতে ৯ বছর কেন লাগল, কেন চীনা ঠিকাদার বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও সিইটিপি কার্যকর নয়, এর দায় কার—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। কেন কঠিন বর্জ্য ফেলার জায়গা ১৮ বছরেও নির্মাণ করা গেল না, কেন হাজারীবাগের মতো খোলা আকাশের নিচে বর্জ্য ফেলা হয়—এর জবাব কী দেবেন কর্তাব্যক্তিরা। সিইটিপিতে লবণ পরিশোধনের ব্যবস্থা কেন নেই, সেই জবাব কে দেবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশনে (বিআরটিসি) নামের পরামর্শকের ভূমিকা কতটুকু কার্যকর ছিল, তারও মূল্যায়ন দরকার।

২০১৬ সাল থেকেই বিসিকের চামড়াশিল্প নগর প্রকল্পের তখনকার পরিচালক আবদুল কাইয়ুম বলে আসছিলেন, তাঁরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন শুধু ট্যানারি সাভারে যাওয়ার অপেক্ষা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোর সেবা–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তর এ নির্দেশ পালন করে। ফলে সাভারে যেতে বাধ্য হয় ট্যানারিগুলো। এখন দেখা যাচ্ছে, বর্জ্য পরিশোধনাগার কার্যকর নয়।

চামড়াশিল্প নগরে গিয়ে গত মঙ্গলবার বিসিকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসলে পুরো প্রস্তুতি না নিয়ে তখন চামড়াশিল্প নগরে উৎপাদন শুরু করে দেওয়াটা ভুল ছিল। আর একটি বছর সময় নিলে এই পরিস্থিতি হতো না।

কাউকে দায় নিতে হয়নি

চামড়াশিল্প নগর প্রকল্পের শুরু থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ে চারজন নিয়মিত মন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। যাঁরা হলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের এম কে আনোয়ার (প্রয়াত) ও মতিউর রহমান নিজামী (মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর) এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটের দিলীপ বড়ুয়া ও আমির হোসেন আমু (নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বাদে)।

এখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগের নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কামাল আহমেদ মজুমদার। আলোচ্য সময়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন ১৪ জন। বিসিকে চেয়ারম্যান পাল্টেছেন ১৭ জন। বর্তমানে রয়েছেন মো. মোশতাক হাসান। চামড়াশিল্প নগর প্রকল্পটিতে মোট ১৬ জন পরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন।

চামড়াশিল্প নগরে ব্যর্থতার দায় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী—কাউকে নিতে হয়নি। ট্যানারির মালিকেরা রপ্তানির যে স্বপ্ন দেখে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। তবে বিপাকে পড়েছেন নদীর তীরের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, একসময় যে নদীর পানি দিয়ে তাঁরা ভাত রান্না করতেন, এখন তাতে গরুর গোসলও করান না।

চামড়াশিল্প নগরে গিয়ে কয়েকটি ট্যানারির কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের মূল্যায়ন হলো, বিসিকের কর্মকর্তাদের সমস্যা অস্বীকার করার প্রবণতা বেশি। তাই সমস্যার সমাধান হয় না। আর মালিকদের দুই সমিতিও চামড়াশিল্প নগরকে সফল করতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

দেশি কাঁচামাল, চামড়ায় সম্ভাবনা

চামড়া একসময় দেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি আয়ের খাত ছিল। ২০১৬ সালে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ২০২১ সালের মধ্যে চামড়া খাতে রপ্তানি আয় ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান। তবে চামড়া খাত শুধু পিছিয়েছে। সর্বশেষ ২০২০–২১ অর্থবছরে আয় হয়েছে মাত্র ৯৪ কোটি ডলার।

চামড়া খাতে কাঁচামালের জন্য আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় না। এ দেশের গরু ও ছাগলের চামড়ার মান ভালো। কিন্তু বাংলাদেশের ট্যানারিমালিকেরা ইউরোপের জুতা ও চামড়াজাত পণ্যের সুপরিচিত ক্রেতাদের কাছে চামড়াজাত পণ্য বিক্রি করতে পারেন না। উৎপাদকেরা বলছেন, আমাদের দরকার এখন বৈশ্বিক জোট লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সনদপ্রাপ্ত ট্যানারি। এই সনদ থাকলে সব ক্রেতার কাছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বিক্রি করা যাবে। ভালো দাম পাওয়া যাবে। তবে দূষণের দায় থাকলে এই সনদ পাওয়া যায় না।

সমাধান কী

বিসিকের তৈরি সিইটিপির পরিশোধনক্ষমতা দৈনিক ২৫ হাজার ঘনমিটার। যদিও চামড়াশিল্প নগরে মৌসুমের সময় দিনে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদিত হয়। ট্যানারির মালিকেরা বলছেন, বৈশ্বিক সংগঠন লেদার ওয়ার্কিং এলডব্লিউজির মান রক্ষা করে সিইটিপি পরিচালনা করলে প্রকৃত পরিশোধনক্ষমতা ২০ হাজার ঘনমিটারের কম দাঁড়াবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন সমাধান হলো, বড় ট্যানারিগুলোকে নিজস্ব বর্জ্য পরিশোধনব্যবস্থা তৈরির অনুমোদন দিয়ে দেওয়া। এতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের ওপর চাপ কমবে। আর যথাসম্ভব দ্রুত কঠিন বর্জ্য ফেলার জায়গা নির্মাণ করতে হবে।

বাংলাদেশেও যে পরিবেশসম্মত বিশ্বমানের ট্যানারি তৈরি করা সম্ভব, তা দেখিয়েছে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার। গাজীপুরে তাদের জুতার কারখানার ট্যানারি ইউনিট এলডব্লিউজি নিরীক্ষায় গোল্ড সার্টিফিকেট বা সনদ পাওয়া। অ্যাপেক্সের যৌথ বিনিয়োগের ট্যানারি আছে চামড়াশিল্প নগরে। বিপুল উৎপাদন ক্ষমতার এই ট্যানারির জন্য তারা ২০১৭ সালেই আলাদা বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণের অনুমতি চেয়েছিল। কারণ, তারা দেখছিল, বিসিকের তৈরি সিইটিপি কার্যকর হচ্ছে না। নিজেদের ইটিপি তৈরির অনুমতি চেয়েছিল বে ট্যানারিও। যদিও কিছু জটিলতায় তারা এখনো আলাদা ইটিপি তৈরি করতে পারেনি।

চামড়াশিল্প নগরে বর্জ্য পরিশোধনাগারকে যেকোনো মূল্যে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটা সাময়িক ক্ষতি মেনে হলেও। আর ভবিষ্যতে কারও কোনো গাফিলতির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। জনগণের করের ৭৮১ কোটি টাকা খরচের পরও নদীদূষণ হতেই থাকবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।