দায়ীদের চিহ্নিত করে সত্য উদ্ঘাটন করা হবে

অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে আগুনের জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটন করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এমনটাই জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

আজ বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ফায়ার সার্ভিসের ২৭ সদস্য দুদকের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিয়ে এ মহড়া অনুষ্ঠান পরিচালন করেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বনানীর এফ আর টাওয়ারে অনিয়মের সত্য উদ্‌ঘাটন করা হবে। কেউ অপরাধ করলে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, অসচেতনতা, ভবন নির্মাণে আইন না মানা, নিরাপত্তামূলক বিধিবিধান পরিপালন না করা, এসব বিধিবিধান নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর উদাসীনতা, অদক্ষতা ও দুর্নীতি এবং কিছু মানুষের দ্রুত বিত্তশালী হওয়ার মানসিকতার কারণেই এফ আর টাওয়ার কিংবা চুড়িহাট্টার মতো মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটছে।

দুদকের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত কমিশনে মাত্র একটি নির্গমন পথ ছিল। ২০১৮ সালে কমিশন একটি জরুরি নির্গমন পথ করেছে। ওই বছরই কমিশনের দুটি ভবনের মধ্যখানে উড়াল সংযোগ পথ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে কমিশনের অফিসে আছে তিনটি নির্গমন পথ। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা হয়েছে। কমিশনের সব পুরাতন নথিপত্র নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। কমিশনের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ গেট নির্মাণ করা হয়েছে।

বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ৩ এপ্রিল অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। অনুসন্ধান শুরু করার পরদিনই ৯ সংস্থায় তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন। আরও বহু লোক গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তিন আসামি হলেন এফ আর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল এবং এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসভীর–উল ইসলাম। এঁদের মধ্যে এস এম এইচ আই ফারুক ও তাসভীর–উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।