দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন জয়শঙ্কর

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিষয় চূড়ান্ত করতে আগামী ৪ মার্চ দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সফরের প্রথম দিনে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২০১৯ সালের আগস্টের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে এস জয়শঙ্করের এটা দ্বিতীয় সফর।

এস জয়শঙ্কর
ছবি: রয়টার্স

মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্রথম আলোর কাছে জয়শঙ্করের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। ঢাকায় এসে এস জয়শঙ্কর ২৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের আলোচ্যসূচি, সম্ভাব্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

মুজিব বর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও এই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাঁচ দশক পূর্তির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ ঢাকায় আসার কথা। সূচি অনুযায়ী, ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতা দেবেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে একটি রাগ পরিবেশন করবেন ভারতীয় বিশিষ্ট শিল্পীরা।

দুই দিনের সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। দুপুরে ঢাকায় ফিরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

দুই প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠককে ঘিরে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। এর অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল মিউজিয়াম। এই দুই প্রধানমন্ত্রী ওই জাদুঘরের উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, মহাত্মা গান্ধীকে বাপু সম্বোধন করা হয়।

নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরে অগ্রাধিকারে কোন কোন বিষয়ে থাকবে, তা জানতে চাইলে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী গত সোমবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, দুই নিকট প্রতিবেশীর বন্ধুত্ব সুসংহত করে আগামী ৫০ বছরে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দিকনির্দেশনার ওপর জোর দেওয়া হবে। দুই শীর্ষ নেতার আলোচনায় ঐতিহাসিক উপাদান, দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সহযোগিতা, জ্বালানি ও উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়গুলোর পাশাপাশি সম্পর্কের পর্যালোচনা হবে। এদিকে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের আগে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র, নৌপরিবহন ও বাণিজ্যসচিবদের বৈঠকের কথা রয়েছে।