দুদকের দুর্নীতি রোধে সাত সদস্যের কমিটি

অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধে এবার প্রাতিষ্ঠানিক কমিটি গঠন করল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তসংশ্লিষ্ট কাজে দীর্ঘসূত্রতার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশ করবে সাত সদস্যের এই কমিটি। পাশাপাশি কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগের পর্যালোচনা করে করণীয়ও ঠিক করবে।

জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল দুদকের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খানকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দুদক গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক মীর জয়নাল আবেদীন শিবলী, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা অনুবিভাগের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল, বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদ, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, পরিচালক (মানি লন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও একই অনুবিভাগের উপপরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন।

কমিটিকে কর্মপরিধি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অনুসন্ধান ও তদন্তসংশ্লিষ্ট কাজে দীর্ঘসূত্রতার কারণ চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের সুপারিশ, অনুসন্ধান ও তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা, ভাবমূর্তি ও জবাবদিহির ক্ষেত্র পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশসহ মতামত প্রদান; অনুসন্ধান এবং তদন্তকালে কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক দুর্নীতি বা অভিযোগের আওতাধীন ব্যক্তিকে হয়রানি করার সুযোগের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা এবং তা নিরসনের জন্য সুপারিশ করা; কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ পর্যালোচনাপূর্বক করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদান উল্লেখযোগ্য।

এ বিষয়ে দুদকের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘরে-বাইরে সকলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আইনগতভাবেই অঙ্গীকারবদ্ধ।’

এর আগে দুদক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থার দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে অনুসন্ধান চালিয়েছিল। এবার অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক কমিটি করল দুদক। দীর্ঘদিন ধরে দুদকের একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ কমিটি করা হলো। যদিও দুদক বলছে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা এর লক্ষ্য।