দুর্গাপূজার মহানবমী আজ
দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন আজ রোববার। আজ মহানবমী।
আজ সকালে শুরু হয় মহানবমী বিহিত পূজা।
হিন্দুধর্মাবলম্বী অনেকের বিশ্বাস, মহানবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার ক্ষণ। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এদিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব।
নবমী নিশীথে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাত তাই বিদায়ের অমোঘ পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়। এসব বিবেচনা করে অনেকেই মনে করেন, নবমীর দিন আধ্যাত্মিকতার চেয়েও অনেক বেশি লোকায়ত ভাবনায় ভাবিত থাকে মন।
আজ সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে মহানবমী পূজা ও কাল সোমবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ এড়াতে এ বছর দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। উৎসব–সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ।
সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পূজামণ্ডপ। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা।
জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই দুর্গাপূজায় আগেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
করোনার কারণে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে এবার সরাসরি টেলিভিশনে ও ফেসবুকে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থার কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়। ভক্তদের বাসায় বসেও অঞ্জলি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবার অনেক ভক্তই বাসায় বসে অঞ্জলি দেন।
চণ্ডীপাঠ, বোধন ও দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। গতকাল শনিবার ছিল এবারের শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষ্টমী।
এবার দেবী এসেছেন দোলায়, যাবেন হাতিতে চড়ে।
সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এ বছর সারা দেশে ৩০ হাজার ২২৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর সারা দেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮। গত বছরের তুলনায় এবার ১ হাজার ১৭৫টি মণ্ডপে পূজা কম হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২৩৩। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২৩৭। আর ঢাকা জেলায় পূজা হচ্ছে ৭৪০টি পূজামণ্ডপে।