দুর্ঘটনা রোধে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম জোরদারের দাবি

ইলিয়াস কাঞ্চন
ইলিয়াস কাঞ্চন

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এবং এ সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নিসচা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমার মনে হয় সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলো অতটা সচেতন নয়। রাজনৈতিক নেতারা যদি বিষয়টিকে তাঁদের এজেন্ডার ভেতর নিয়ে আসতেন তাহলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেক কমে আসত।’
সবার জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে নিসচা। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবছর ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সংগঠনটি। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘চালক-মালিক, যাত্রী-পথচারী ভাই ভাই, সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশ চাই।’ দিবসটিকে সরকারিভাবে পালনের দাবিও জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
এ বছর নিসচা ঘোষিত নিরাপদ সড়ক দিবসে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমী থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শোভাযাত্রা ও সমাবেশ। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
একই সময়ে নিসচার ৮৭টি শাখার উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে শোভাযাত্রা, মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এসব কর্মসূচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ১৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৫৮২। তার আগের বছরে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।
এ হিসাবে গত দুই বছরের তুলনায় চলতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে বলে ধারণা করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত খবরের ভিত্তিতে সড়ক দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিসচা। তবে অনেক দুর্ঘটনাই হিসাবের বাইরে থেকে যায়।