দুর্নীতির কারণে নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাহত হচ্ছে: টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, সুশাসনের অভাব ও দুর্নীতির কারণে নারীর ক্ষমতায়ন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। দুর্নীতির কার্যকর প্রতিরোধে নারীর ক্ষমতায়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব না।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। তাই নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন এবং জেন্ডার সমতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। দুর্নীতির কারণে নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাহত হয়।
টিআইবি পরিচালিত জাতীয় খানা জরিপ-২০১৭-এর সূত্র উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সেবাগ্রহণকারী হিসেবে ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ নারী দুর্নীতির শিকার হয়েছে। এ ছাড়া নারী দুর্নীতির শিকার হয় এবং দুর্নীতির মাধ্যম ও সংঘটক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

করোনা মহামারির প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, করোনা মহামারি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশেও পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানতালে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ অনুপ্রেরণাদায়ী নারী নেতৃত্বের স্বীকৃতি তার প্রমাণ। কিন্তু এমন সময়ও নারীদের প্রতি সহিংসতা কিংবা নারীদের অবদমনের প্রক্রিয়া বন্ধ নেই। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, করোনার সময় ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতন, ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ নারী যৌন নিপীড়ন, ৭৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ নারীর দৈনন্দিন জীবনাচার নিয়ন্ত্রণ এবং ৩৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ নারী অর্থনৈতিকভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। আর ৪৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ নারী শারীরিক ও যৌন উভয় ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

নারী দিবস উপলক্ষে টিআইবি ৮ দফা দাবি জানিয়েছে। উল্লেখযোগ্য দাবি গুলো হচ্ছে—উপার্জনমূলক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়া, নারীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ তৈরি, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার ও দুর্নীতি প্রতিরোধকে মূলধারাভুক্ত করা, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি, রাজনৈতিক দলে সরাসরি নারী প্রার্থী মনোনয়ন বাড়ানো।