দুর্নীতির নির্বাচন করে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন তৈরি করা যায় না: সংসদে হারুন

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেছেন, দুর্নীতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রতিনিধি তৈরি করা যাবে না।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ এসব কথা বলেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশে কার্যকর কোনো বিরোধী দল নেই। বিরোধী দল ব্যর্থ। রাষ্ট্রপতি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে তাঁর ভাষণে বলেছেন। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে। নির্বাচন নিয়ে আদালতে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে, কিন্তু মামলার শুনানি শেষ হবে না।

হারুনুর রশীদ বলেন, জাতীয় সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দল একাকার। ফরমায়েশি বিরোধী দল দিয়ে সংসদকে কার্যকর করা যাবে না।

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘একসঙ্গে মধ্যরাতে ভোট করলেন। এখন তাদের বিরোধী দলের চেয়ারে বসালেন। এটা কি হয়? কীভাবে সংসদ কার্যকর করবেন?’

হারুনুর রশীদ বলেন, সংসদে সত্য বলতে গেলে সরকারি দল ও মহাজোটের সদস্যরা অসন্তুষ্ট হন। তবে তিনি সত্য কথা বলবেনই।

হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, জাতীয় ‍উন্নয়নের নামে জাতীয় লুটপাট হচ্ছে। বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। এগুলো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছে, তাঁরাই নির্বাচিত হচ্ছে। নির্বাচন নামে বাংলাদেশে কোনো সংস্কৃতি নেই। নির্বাচনের নামে প্রহসন আর তামাশা হচ্ছে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের কারণে মূল সংকট আড়াল হয়ে যাচ্ছে।

হারুনুর রশীদ বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ও বর্তমান মেয়র একে অপরের বিরুদ্ধে রাঘববোয়াল আর চুনোপুঁটির অভিযোগ নিয়ে আসছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন কি এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করবে না?

সংসদে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপির এই সাংসদ বলেন, ১০ দিন ধরে তিনি সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁকে অনির্ধারিত আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

স্পিকারের উদ্দেশে হারুনুর রশীদ বলেন, সংসদে বিরোধী দলের কণ্ঠ স্তব্ধ না করতে চাইলে তাদের কথা বলতে দিতে হবে।

হারুনুর রশীদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিএনপির সাংসদ যতবারই পয়েন্ট অব অর্ডারের সময় চেয়েছেন, তিনি না বলেননি। অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী দৈনিক অ্যাজেন্ডাভুক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। কোনো অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়নি।