দেশের গণপরিবহন আরও যাত্রীবান্ধব হতে হবে: হোসেন জিল্লুর

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ ‘ন্যায্য ভাড়ায় হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত যাতায়াতের অধিকার চাই’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ছবি: আহমেদ দীপ্ত

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘যাত্রী অধিকার নিশ্চিত হলে এটার সুফল যাত্রীর পাশাপাশি শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ, সরকার পাবে। এর মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, উন্নতমানের গণপরিবহন খাত পাব, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। তাই দেশের গণপরিবহন খাতকে আরও যাত্রীবান্ধব করতে হবে।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ন্যায্য ভাড়ায় হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত যাতায়াতের অধিকার চাই’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আলোচনায় হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে যাত্রী অধিকারের বিষয়টি খুবই জরুরি। সার্বিকভাবে এখানে যাত্রী অধিকারের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। যাত্রীদের অধিকার নিশ্চিতে নীতিনির্ধারকসহ সবার এগিয়ে আসা উচিত।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, নৌপথ ও সড়কপথে দুর্ঘটনা ঠেকাতে বাহনের ফিটনেস, চালকের প্রশিক্ষণ আছে কি না, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হলে দুর্ঘটনা কমে আসতে বাধ্য। বাস, ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণে সভ্য দেশগুলোতে ভোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশে ভাড়া নির্ধারণে ভোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ ভাড়া মন্ত্রণালয়, বাস মালিক সমিতি, মন্ত্রী বা আমলারা ঠিক করবেন, তা নয়। মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই যাত্রী। এই যাত্রী বা ভোক্তার অধিকার রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অনেক সময় দুর্ঘটনা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানো যায় না। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, এসব কিন্তু প্রতিকারযোগ্য।’

আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, নৈরাজ্য চলছে। সড়কে নিরাপত্তার নামে দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালে বড় একটা আন্দোলন হয়েছিল। তখন নীতিনির্ধারকেরা বলেছিলেন, চোখ খুলে গেছে। এখন আবার তাঁদের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। চালকদের এককভাবে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু দক্ষ চালক তৈরির জন্য জাতীয়ভাবে কোনো কার্যক্রম নেই। যাত্রী অধিকারের কথা উঠলে মানবিক গণপরিবহন খাতের কথা আসে।

আলোচনায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাস কোম্পানিজের সভাপতি খন্দকার রফিকুল হোসেন বলেন, বাসমালিকেরা প্রতিদিন যে পরিমাণে সড়কে চাঁদা দেন, এটা নিয়ে কেউ কথা তোলে না। এই দেশে বাসগুলোর ভাড়া তোলার সিস্টেম ভালো নয়। প্রতিদিন যে পরিমাণে ভাড়া ওঠে, তা বাসমালিকেরা পান না কিস্তি, চাদার কারণে। এসব নিয়েও কথা বলতে হবে।