নওগাঁয় করোনায় আক্রান্ত ৩ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫৪

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৬৪ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৫৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজন জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বাসিন্দা। অপরজন মহাদেবপুর উপজেলার বাসিন্দা। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত নওগাঁ সদর হাসপাতালসহ জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ২৪০টি নমুনায় ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে একজনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বমোট ২৪১টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলার ৯ জন, রানীনগরে ৬ জন, আত্রাইয়ে ৪, মহাদেবপুরে ৪, মান্দায় ১, বদলগাছিতে ৬, পত্নীতলায় ৮, ধামইরহাটে ৫, নিয়ামতপুরে ৩, সাপাহারে ৪ ও পোরশা উপজেলার ৪ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩ হাজার ৬১৬।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনাসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় এক দিনে সর্বোচ্চ ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত শনিবার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ওই দিন শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। এর আগের দিন ২৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯২ শতাংশ।

করোনার সংক্রমণ রোধে চলতি মাসের ৩ জুন থেকে নওগাঁ জেলার কয়েকটি উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই লকডাউন শেষে পরে পুরো জেলায় বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁয় এখনো এই বিশেষ বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে।

নওগাঁর সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ বলেন, লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপের আগে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের ওপরে ছিল। লকডাউন ও বিধিনিষেধ আরোপের ফলে সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো যে হার রয়েছে, তা মোটেও স্বস্তিজনক নয়। দুই সপ্তাহ ধরে জেলায় প্রতিদিনের গড় শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের কাছাকাছি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে আহ্বান জানান তিনি।