নবজাতকের যত্নে খেয়াল রাখবেন যে বিষয়গুলো

একটি শিশুর জন্ম পুরো পরিবারকে আনন্দে ভাসায়। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নবজাতককে নিয়ে। আবার এত ছোট একটি মানুষের খাবার থেকে শুরু করে সব ধরনের যত্ন–আত্তি করতে গিয়ে কী করা উচিত, আর কী করা উচিত নয়, তা নিয়েও হিমশিম খেতে হয় অনেককে। এ কারণে নবজাতকের যত্ন সম্পর্কে তার জন্মের আগে থেকেই একটু একটু করে জানার চেষ্টা করতে হবে।

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব, পারলে জন্মের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হবে। শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত তাকে শুধু বুকের দুধই দিতে হবে। জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ শিশু দৈনিক সাত–আটবার পর্যন্ত বুকের দুধ পান করবে।

নবজাতকের বিপদচিহ্নগুলো ভালোভাবে চিহ্নিত করতে চোখ–কান খোলা রাখতে হবে। এ বিপদচিহ্নগুলো হলো বুকের দুধ পানে অসুবিধা, জ্বর বা শীতল শরীর, শ্বাসকষ্ট, অনবরত বমি, বমিতে রক্ত বা পিত্তরস, পেট ফোলা, ফ্যাকাশে ভাব, হাত-পা পর্যন্ত বিস্তৃত জন্ডিস, রক্তপাত, খিঁচুনি ও ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া। এগুলোর বিষয়ে আগেই ভালো করে জেনে রাখা উচিত।

নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রার বিষয়েও যত্নবান হতে হবে। ক্যাঙারু মাদার কেয়ার পদ্ধতিতে প্রসূতি মায়ের বুকে-পেটে নবজাতককে রেখে উষ্ণতা দেওয়া ভালো কৌশল। এ পদ্ধতিতে নবজাতকের তাপমাত্রার সুরক্ষা ছাড়াও বুকের দুধ পান সহজতর ও মা-সন্তানের বন্ধন আরও নিবিড় হয়।

শিশুকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে এক ডোজ ‘কে’ ভিটামিন ইনজেকশন দেওয়া উচিত। ১ হাজার গ্রামের কম ওজনের শিশুকে ০ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম এবং তার বেশি ওজনের নবজাতককে ১ মিলিগ্রাম ভিটামিন কে প্রয়োগ করতে হবে। নবজাতকের জন্মের পরপরই কয়েকটি টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা উচিত। এগুলো হলো বিসিজি, মুখে খাবার পোলিও ও ‘হেপাটাইটিস বি’ টিকা। হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার আগেই এই টিকাগুলো দেওয়া উচিত।

নবজাতকের বিপদচিহ্নগুলো ভালোভাবে চিহ্নিত করতে চোখ–কান খোলা রাখতে হবে। এ বিপদচিহ্নগুলো হলো বুকের দুধ পানে অসুবিধা, জ্বর বা শীতল শরীর, শ্বাসকষ্ট, অনবরত বমি, বমিতে রক্ত বা পিত্তরস, পেট ফোলা, ফ্যাকাশে ভাব, হাত-পা পর্যন্ত বিস্তৃত জন্ডিস, রক্তপাত, খিঁচুনি ও ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া। এগুলোর বিষয়ে আগেই ভালো করে জেনে রাখা উচিত। হাসপাতালে জন্ম হলে নবজাতককে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর মা ও শিশুকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে নবজাতকের প্রথম পায়খানা ও প্রথম প্রস্রাব হওয়া উচিত। শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সে জন্য চিকিৎসকের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে শিশুকে।

আগামীকাল পড়ুন: কলোরেকটাল ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা