নাইমুল আবরারের মৃত্যু: অভিযোগ গঠনের আদেশ ১২ নভেম্বর

রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ মঙ্গলবার হয়নি। আগামী ১২ নভেম্বর অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ দেওয়ার দিন ঠিক করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলো সম্পাদকের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার জানান, এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার দিন ঠিক ছিল আজ। তবে আদেশ প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

আজ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদীপক্ষে ছিলেন, আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ।

গত ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়। ওই দিন প্রথম আলো, কিশোর আলোর সম্পাদকসহ আটজনের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই শুনানিতে প্রথম আলো সম্পাদকের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথমে মোহাম্মদপুর থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা করা হয়। ওই মামলা থাকা অবস্থায় ঘটনার পাঁচদিন পর আদালতে আরেকটি নালিশি মামলা করা হয়। নালিশি মামলার আদেশে দেখা যায়, থানায় করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না নিয়েই নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত, যা ফৌজদারি কার্যবিধি ২০৫–এর (ডি) ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ১৩ অক্টোবরের শুনানিতে আরও বলেন, নিম্ন আদালতের উচিত ছিল, অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নালিশি মামলাটি আমলে নেওয়ার। এ ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নালিশি মামলা তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। আইনের দৃষ্টিতে এই মামলাটি অচল।

ওই শুনানিতে এহসানুল হক সমাজী আরও বলেন, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি টর্ট আইনে বিচারযোগ্য। কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে না। তিনি বলেন, নালিশি মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষীর তালিকা একান্ত প্রয়োজন। অথচ এই মামলার আরজিতে কোনো সাক্ষীর তালিকা নেই। নালিশি মামলায় শুধু প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়। অথচ সেদিন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

গত বছরের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ছিল। সেদিন মাঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় নাইমুল আবরার। এ ঘটনায় নাইমুলের বাবা মজিবুর রহমান গত বছরের ৬ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নালিশি মামলা করেন। এরপর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলো, কিশোর আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।