নান্দাইলে ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের নান্দাইল থানা-পুলিশ আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার অরণ্যপাশা গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে জাহেদ মিয়া তালুকদার (২৮) নামের এক ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা ও মুখে বালিশ চাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে। তাঁর লাশ উদ্ধারের আগে অপরাধ তদন্ত সংস্থার (সিআইডি) সহায়তায় কিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাহেদ মিয়া তালুকদার হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার গানপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি কাঠের তৈরি নানা তৈজসপত্রের ব্যবসা করতেন। তাঁর অধীনে আটজন হকার তৈজসপত্র গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করতেন। জাহেদ ছিলেন হকারদের মহাজন।

নান্দাইলের গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর লোকজনের ভিড়। লোকজন জানান, এলাকাটি নান্দাইল চৌরাস্তা বাণিজ্যিক এলাকার নিকটবর্তী হওয়ায় বাইরের জেলা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা–বাণিজ্য করছেন। এলাকাটি মাদকপ্রবণ বলেও জানিয়েছেন এখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা।

বাসার মালিক অরণ্যপাশা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী জাহেদ মিয়া গত ২৬ মে তাঁর বাসা ভাড়া নেন। জাহেদের হকাররা এ বাসার অন্য কক্ষগুলোতে থাকতেন। ব্যবসায়ী জাহেদ তাঁর কক্ষে একা থাকতেন। আজ জুমার নামাজ পড়ে তিনি নিজ বাড়িতে প্রবেশ করছিলেন। দুপুর বেলায় জাহেদের কক্ষের বারান্দায় বাতি জ্বলতে দেখে তিনি হকারদের ডেকে বাতি নেভাতে বলেন। বারান্দার গ্রিলে তালা মারা থাকায় একজন হকার একটি কাঠি দিয়ে খোঁচা মেরে বাতির সুইচ বন্ধ করে দেন। কিন্তু দুপুরে মহাজনকে ডেকেও সাড়া পাচ্ছিলেন না। পরে লম্বা একটি বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ধাক্কা মেরে দরজা খুলে দেখতে পান জাহেদ মিয়ার হাত-পা বাঁধা লাশ মুখে বালিশ চাপা দেওয়া অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, এই ঘটনা হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। সিআইডির ক্রাইম সিন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে প্রয়োজনীয় আলামত উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই বাসার পাঁচজন হকারকে একটি কক্ষে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।