নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার: স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি রিমান্ডে

সিলেটে নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার শুনানি শেষে সোমবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালতের (এমএম-১) বিচারক মো. জিয়াদুর রহমান রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া তিন আসামি হলেন নিহত নারী চিকিৎসকের স্বামী দিবাকর দেব ওরফে কল্লোল, শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র দেব ও শাশুড়ি রত্না রানী দেব।

সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। তবে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এখন আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা বের করার চেষ্টা করা হবে।

রোববার নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলাকা থেকে চিকিৎসক প্রিয়াংকা তালুকদার ওরফে শান্তার (২৯) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিলেটের পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তাঁর স্বামী দিবাকর দেব পেশায় স্থপতি। তাঁদের তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এই ঘটনায় প্রিয়াংকার বাবা ঋষিকেশ তালুকদার পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।

রোববার সন্ধ্যায় জালালাবাদ থানায় মেয়ের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন ঋষিকেশ। পরে ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

সোমবার বিকেলে প্রিয়াংকার বাবা ঋষিকেশ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ের লাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য তাঁরা সুনামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে আছেন। আসামিদের রিমান্ড নেওয়ার বিষয়টি তিনি ও তাঁর পরিবার অবহিত হয়েছেন। তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।