নারীর ক্ষমতায়নে নতুন প্রচারণা 'হি ফর শি'

লিঙ্গবৈষম্য বিলোপ ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বৈশ্বিক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘হি ফর শি’ বা নারীর পক্ষে পুরুষ কর্মসূচি। বাংলাদেশে নানা পেশার নয়জন অগ্রগামী পুরুষ নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাঁদের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএন উইমেন ও সুইডেন দূতাবাস এই প্রচারণা কর্মসূচির উদ্বোধন করে।
লৈঙ্গিক সমতা অর্জনে ইউএন উইমেনের একটি সংহতিমূলক আন্দোলন হি ফর শি। ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক ফুমজিলে ম্লামবো এনচুকা এবং শুভেচ্ছা দূত এমা ওয়াটসনকে নিয়ে ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
রাজধানীতে হি ফর শির উদ্বোধনের শুরুতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউএন উইমেনের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন হান্টার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সমানাধিকার অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হতে পারে এই প্রচারাভিযান।
ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, প্রথম আলোরসম্পাদক মতিউর রহমান, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী রবার্ট ওয়াটকিনস, ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইয়োহান ফ্রিসেল, বিজেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ আজিম, শিল্পী খালিদ মাহমুদ, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্ড ও গলফার সিদ্দিকুর রহমান নারীর ক্ষমতায়নে নিজেদের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী কমপক্ষে ১০০ সাংসদকে এ প্রচারাভিযানের সঙ্গে যুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। রবার্ট ওয়াটকিনস বাংলাদেশে জাতিসংঘের কর্মপ্রক্রিয়ায় নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বিলোপের সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তথ্য-উপাত্তভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে অর্থনীতিতে নারীর অবদান এবং নারীর প্রতি আর্থসামাজিক বৈষম্যের গবেষণাভিত্তিক নীতি প্রণয়নের অঙ্গীকার করেন।
মতিউর রহমান নারীর পক্ষে পুরুষ প্রচারাভিযানের জন্য আগামী এক বছর প্রথম আলোতে বেশ কিছু বিশেষ প্রতিবেদন, উপসম্পাদকীয়, সম্পাদকীয় প্রকাশের পাশাপাশি গোলটেবিল বৈঠক ও সেমিনার আয়োজনের অঙ্গীকার করেন।