নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গণপরিবহনে শিল্পকর্ম
কর্মজীবী নারীদের জন্য ক্ষুদ্র পরিসরে দোলনচাঁপা বাস সেবা নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করছে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে লিঙ্গ–সাম্যের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের জন্য হারস্টোরি ফাউন্ডেশন ও দোলনচাঁপা বাস সেবা সহিংসতার বিরুদ্ধে শিল্পকর্ম প্রদর্শন করছে। নারীর সহিংসতা প্রতিরোধে প্রতিবছর ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছে শিল্পকর্মগুলো।
রাজধানী ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৫৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ নারী। নারীর বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা এখন বাস্তবতা ও উদ্বেগের বড় একটি কারণ। সচেতনতাই প্রতিকার লক্ষ্যকে সামনে রেখে হারস্টোরি ফাউন্ডেশন ও দোলনচাঁপা সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে। দোলনচাঁপা বাসে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ছবি ডিজাইন করেছেন অন্তরা মেহ্রুখ আজাদ।
হারস্টোরি ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এসব কথা বলা হয়েছে।
ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি শোকো ইশিকাওয়া বলেন, ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিকার অর্থে নারীর আলাদা বাস সেবার প্রয়োজনই ছিল না যদি পুরুষেরা তাঁদের হয়রানি না করত। যত দিন আমরা নারীর জন্য নিরাপদ চলাচলের পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারছি, তত দিন বিশেষায়িত বাস সেবা প্রয়োজন। সেই বাসে হারস্টোরি ফাউন্ডেশনে সৃজনশীল শিল্পকর্ম প্রদর্শন সবাইকে সচেতন করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন বলেন, পরিবহনে নারী ও শিশুর নিরাপত্তায় সরকার বদ্ধপরিকর। বাস কিংবা চলার পথে কোনো প্রয়োজনে ন্যাশনাল টোল ফ্রি হেল্পলাইন ১০৯–এ ফোন করুন।
দোলনচাঁপা ও র্যাংগস মোটরসের ব্যবস্থা সোহানা রউফ চৌধুরী বলেন, ‘দোলনচাঁপা সেবার মাধ্যমে নারীদের পাশে থেকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় নারীর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা রোধে এই ক্যাম্পেইন আশা করি মানুষের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দেবে। এর মাধ্যমে সমাজের সব স্তরের নারীরা যেন নীরবতা ভেঙে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে নিজেদের।’
হারস্টোরি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জেরিন মাহমুদ হোসেইন বলেন, ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় শক্ত অবস্থানে আছি। সবাইকে সচেতন করতেই এমন আয়োজন।’