নাসিরাবাদ পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানাধীন নাসিরাবাদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খোলার দি৩েনই গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস বন্ধের খবর শোনা গেলেও এর কোনো সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিকবার অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সন্ধ্যা সাতটায় যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নাসিরাবাদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সমিতির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রূপক বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ছাত্রদের দুই গ্রুপের বাদানুবাদ হতে দেখেছি। এরপর আমি ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে চলে যাই। বিকেলে আবার ক্যাম্পাসের বাইরে চলে আসি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কি না জানি না।’
খুলশী থানার সহকারী উপপরিদর্শক বলেন, ‘আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। দুই পক্ষকে ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এরপর আর কোনো সমস্যা হয়নি।’
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন ছিল নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস। এ উপলক্ষে ছাত্রলীগের নতুন ও পুরোনো কমিটির দাবিদার দুটি পক্ষ ক্যাম্পাসে আসার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়।
এ ব্যাপারে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের এক অংশের সভাপতি রায়হানুল কবির বলেন, ‘গতকাল সকালে কলেজ গেটের সামনে বহিরাগত একদল ছাত্র আমাদের সংগঠনের পাঁচজন সদস্যকে পেটালে সংঘর্ষ বাধে। পরে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।’ রায়হানুল নতুন কমিটি বৈধ নয় বলে দাবি করেন।
অপর দিকে, নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কলেজের পেছনের গেটে বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় আমাদের সংগঠনের নেতা সাদ্দাম হোসেন আহত হন। পরে আমরা পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাসে আসি।’