নিখোঁজের আড়াই মাস পর আওয়ামী লীগ নেতার গলিত লাশ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায় নিখোঁজের আড়াই মাস পর আরাফাত মোল্লা (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত আটটার দিকে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব শীলমন্দি এলাকায় নিজ বাড়ির রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, আরাফাতের স্ত্রী আকলিমা বেগম তাঁকে হত্যার পর লাশটি গুম করার জন্য ওই স্থানে পুঁতে রেখেছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আরাফাত মোল্লা পূর্ব শিলমন্দি এলাকার মৃত দুখাই মোল্লার ছেলে। আরাফাত ও আকলিমা দম্পতির ঘরে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আরাফাত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন।
আরাফাতের ছোট ভাই শরীফ মোল্লা বলেন, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ভাবি আকলিমার পারিবারিক কলহ চলছিল। ২০২০ সালের রমজান মাসেও তাঁর ভাবি তাঁর ভাইকে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেছিলেন। পরে তাঁদের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হয়। এরপর সম্পর্ক ভালোই ছিল। ২ মে নিখোঁজ হন আরাফাত। এ ঘটনায় প্রথমে ১৫ মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও ৩০ মে অপহরণ মামলা করা হয়। আজ জানতে পারলাম ভাবিই ভাইকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যার পর তাঁর ভাবি তাঁর ভাইয়ের লাশ রান্নাঘরে পুঁতে রাখেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আরাফাত নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় একটি জিডি করা হয়। এ ঘটনার পর তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আরাফাতের স্ত্রীর কথাবার্তা, আচার–আচরণে অসংলগ্নতা লক্ষ করা যায়। পরে বিষয়টি জানার জন্য গোপনে সোর্স নিয়োগ করি। সোর্স আকলিমার ওপর নজরদারি করতে থাকেন। আজকে আকলিমাকে এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁর সহযোগী রিয়াজকে আটকের পর এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নিশ্চিত হই। পরে ওই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।’