নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দরকার নেই: সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের একেবারেই দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিবদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
ইসি আয়োজিত রোববারের মতবিনিময় সভায় ২৮ জন সাবেক সিইসি, ইসি, ইসি সচিব ও অতিরিক্ত সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ১০ জন সভায় অংশ নেন।
সেনাসদস্যদের নির্বাচনে কেন দরকার নেই—মতবিনিময় সভায় এর ব্যাখ্যা করেন নূরুল হুদা। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোয় তাঁদের (সেনাসদস্য) যে কার্যক্রম দেখেছি, কোনো কাজে এসেছে বলে মনে হয় না। সুতরাং প্রতিরক্ষার দায়িত্বে যাঁরা নিয়োজিত, তাঁদের নির্বাচনের মাঠে নামানোর কোনো দরকার নেই। এটা যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে ভালো হয়।
বাংলাদেশে নির্বাচনে যে পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়, এ রকম পৃথিবীর আর কোথাও হয় না বলে মনে করেন নূরুল হুদা।
নির্বাচনের ৭৫ শতাংশ টাকা খরচ হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে উল্লেখ করে সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘যখন ছোট ছিলাম, তখন দেখতাম একজন চৌকিদারের মুখে বাঁশি, হাতে লাঠি, তা দিয়ে তিনি নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতেন। এখন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ নামে। মানে দেশের সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনকেন্দ্রিক হয়ে যায়। একটি কেন্দ্রে যে পরিমাণ সশস্ত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকেন, তা একটি থানার সমান। এগুলো নিষ্প্রয়োজনীয়।’
নূরুল হুদা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ইভিএমে ব্যালট বক্স ছিনতাই করা যায় না। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারে না।