নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তড়িঘড়ি যেতে গিয়ে গাড়িতে আগুন

আগুন। প্রতীকী ছবি
আগুন। প্রতীকী ছবি

নাটোরে বিধিনিষেধ ভেঙে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি যাত্রী নামিয়ে ফিরছিল। পথে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে গাড়িটিকে থামার সংকেত দিলে চালক তা অমান্য করে তড়িঘড়ি করে চলে যান। এরপর অল্প কিছু দূরে গিয়েই গাড়িটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়লে তাতে আগুন লেগে যায়।

আজ রোববার সকাল পৌনে ছয়টায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারি এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গাড়িচালক দগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে কীভাবে অন্য জেলার যাত্রীবাহী একটি গাড়ি নাটোর জেলায় যাতায়াত করেছে, তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

দুর্ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বড়াইগ্রামের বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, তাঁরা মুঠোফোনে খবর পেয়ে আইড়মারি এলাকায় আলম ফিলিং স্টেশনের পাশে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন। এ সময় হাইওয়ে ও থানার পুলিশ সেখানে যায়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিভিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে চালককে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ চালকের নাম মো. জয়মুলক (৪০)। তিনি নেত্রকোনার বাঘহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের বারাক আলীর ছেলে। তাঁর ভাই জিয়া হোসেন মুঠোফোনে জানান, তাঁরা তিন বছর ধরে ঢাকার আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তাঁর ভাই ব্যক্তিগত গাড়িতে ভাড়া নিয়ে বনপাড়ায় গিয়েছিলেন। রাত দুইটায় সেখানে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভোরে আশুলিয়ায় ফিরছিলেন। সকাল পৌনে ছয়টার দিকে গাড়িটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায় এবং আগুন ধরে যায়।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শফিকুল ইসলাম জানান, সড়কে পরিবহন ও লোকজন চলাচলের বিধিনিষেধ ভেঙে গাড়িটি কবে, কখন, কোন রাস্তা দিয়ে নাটোর সীমানায় ঢুকেছিল, তা তিনি জানেন না। তবে ফেরার সময় হাইওয়ের লাথুরিয়া তল্লাশিচৌকিতে গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চালক না থেমে দ্রুতগতিতে হাটিকুমরুলের দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পরই গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। চালকের অবস্থা তত গুরুতর নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, গাড়িটি তল্লাশিচৌকি ডিঙিয়ে কীভাবে নাটোর সীমানায় যাতায়াত করছিল, তা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে হবে। চালক সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য জেলার গাড়ি অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাটোরে ঢুকতে পারবে না বা নাটোর থেকে বের হতে পারবে না।