নিয়মবহির্ভূত ভবন ভাঙার দৃশ্য দেখতে চায় সংসদীয় কমিটি

বনানীর এফ আর টাওয়ার। ফাইল ছবি
বনানীর এফ আর টাওয়ার। ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা ভবন ভাঙার দৃশ্য দেখতে চায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ রোববার তারা মন্ত্রণালয়কে বলেছে, কমিটি এই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় আছে। 

পুরান ঢাকার চকবাজার ও বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষাপটে সংসদীয় কমিটি এই মত দিয়েছে। আজ সংসদ ভবনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি, কবে নিয়মবহির্ভূতভাবে গড়ে ওঠা ভবনগুলো ভাঙা হবে। এগুলোর মধ্যে একটাও যদি ভাঙে তবে সেটা অনুকরণীয় হবে, যা সবার জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে।’

মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন বলেছে ১৫ তলার বেশি করা যাবে না। অথচ ওই এলাকায় হোটেল ওয়েস্টিনসহ অনেক ভবন আছে, যেগুলো সুউচ্চ। কীভাবে এগুলো হলো? এসব ভবন কোনো একটি সরকারের আমলে হয়নি। ৪৮ বছর ধরে হয়েছে। তবে আর চলতে দেওয়া যায় না।’

সভাপতি জানান, রাজউক বলেছে নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্ধারণে তারা ২৪টি দল করেছে। তাদের এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন কমিটিতে জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, কমিটি রাজউকের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের পাশাপাশি চেয়ারম্যানসহ পদস্থ ব্যক্তিদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

কমিটির সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, এফ আর টাওয়ারের ১৮ তলা ভবনের পর আরও পাঁচতলা কীভাবে হলো? এটার ফাউন্ডেশন কত তলার ছিল? এই বিষয়গুলো অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে বর্তমান বিল্ডিং কোড যুগোপযোগী করা, অনুমোদনহীন বহুতল ভবনের উচ্চতা বাড়ানো রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ ইমারত নীতিমালা মেনে ভবন নির্মাণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বহুতল ভবনে দুর্ঘটনা রোধে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহারে সচেতনা বৃদ্ধি ও গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বজলুল হক হারুন, জিল্লুল হাকিম, মনোয়ার হোসেন, আনোয়ারুল আশরাফ খান, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন ও ফরিদা খানম অংশ নেন।