নীরব-নির্জন মাধবকুণ্ড

প্রতি ঈদে হাজারো পর্যটকের হইচইয়ে উৎসবমুখর থাকে মৌলভীবাজারের বড়লেখার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এলাকা। কিন্তু অতিবর্ষণে টিলা ও সড়ক দেবে যাওয়ায় বন বিভাগ কেন্দ্রটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে দেশের অন্যতম এই পর্যটনস্থানটিতে এখন বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। না জেনে যাঁরা আসছেন, তাঁদের জলপ্রপাত না দেখেই ফিরতে হচ্ছে।

বন বিভাগ, প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অতিবর্ষণে মাধবকুণ্ড পর্যটন এলাকার টিলা ও রাস্তা দেবে গেছে। বৃষ্টিপাতের কারণে দেবে যাওয়ার ধারা অব্যাহত আছে। এতে স্থানটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে বন বিভাগ ২২ জুন থেকে মাধবকুণ্ড পর্যটন ও জলপ্রপাত এলাকা পর্যটকদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু বিষয়টি না জেনে দেশের দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা হতাশ হয়ে ফিরছেন। ঈদের দিন ছাড়া গত দুদিনে দুই সহস্রাধিক পর্যটক প্রধান ফটক থেকে ফিরে গেছেন। ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মাধবকুণ্ড পর্যটনকেন্দ্র দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবিতে ঈদের দিন বিকেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মাধবকুণ্ড এলাকায় মানববন্ধন করেন।

হোটেলমালিক সাইদুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার অবস্থা খুব খারাপ।

মাধবকুণ্ড পর্যটন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মাধবকুণ্ডের গেট বন্ধ। লোকজন আসছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের বোঝানো হচ্ছে। গেট থেকেই লোকজন ফিরে যাচ্ছে। গেটের ভেতরে কোনো লোক নেই। গতকাল (মঙ্গলবার) হাজার দু-এক লোক এসেছিল। আজ (বুধবার) একটু কম।’

সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আর এস এম মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটনকেন্দ্রটি আমরা ক্লোজ করে দিয়েছি। সিঁড়ির শেষে মাটির বস্তা ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। স্থানটি অবিরাম দেবে বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বৃষ্টি না হলে জুলাই মাসের মধ্যে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি। এ জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়েছি।’