নুরুল অন্যায় করলে বিচার হবে কিন্তু হয়রানি নয়: জাফরুল্লাহ

সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক প্রসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, তিনি (নুরুল) অন্যায় করলে বিচার হবে। কিন্তু তাঁকে হয়রানি করা যাবে না।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার হয়রানি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকসহ সারা দেশের গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং সমসাময়িক বিষয়’ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সে (নুরুল) যদি অন্যায় করে থাকে, সেটার বিচার হবে। তাই বলে তাকে হয়রানি করা যাবে না।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তাঁকেও বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর নুরুল হক, হাসান আল মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা, অপহরণসহ নানা অভিযোগে দুটি মামলা করেন। একটি মামলা হয় লালবাগ থানায়। অপরটি কোতোয়ালি থানায়। নুরুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে নুরুলের বক্তব্য, তরুণদের নিয়ে তিনি যখন ভিন্নধারার রাজনীতি শুরু করেছেন, তখনই তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য মামলার আসামি করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিক বলে আখ্যা দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সমালোচনার জন্য ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা বিনা বিচারে শাস্তি।
এই মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসক বলেন, ‘দেশ ভুল পথে চলছে, সরকার ভুল পথে চলছে।

এখনো সময় আছে সংশোধন হয়ে যান। দুর্নীতির চরম পর্যায়ে আছি আমরা। সরকার নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা অন্ধ হয়ে গেছে। তারা দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছে না। ফলে সবার কণ্ঠ রোধ করছে।’

নিজেদের উদ্ভাবিত কিট প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে আমরা বের করেছি। ক্ষতিটা আমাদের হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের।’

ভারতের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ভারত পচা পেঁয়াজ দিল। কিন্তু তিস্তার পানির সুরাহা না হওয়া এবং সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হলে ট্রানজিট বন্ধের কথা আমরা বলতে পারছি না। যে বন্ধু আমার স্বার্থ দেখে না, একতরফা নিজের স্বার্থ দেখে, তাকে বলে শোষণ।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এসবের মধ্যেই জীবন-জীবিকা চালিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে।

ভেন্টিলেটরের চেয়ে পর্যাপ্ত অক্সিজেন আছে কি না, তার হিসাব নিতে হবে। করোনাকে মোকাবিলা করতে হলে সরকারকে নৈতিক হতে হবে।