নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনে আটকে যাচ্ছেন মেধাবীরা

* ৩৭তম বিসিএসে ৬১ জন বাদ

* ৩৫তম বিসিএসের ৩৪ জন

* ৩৬তম বিসিএসে ৬৯ জন

* নিয়োগবঞ্চিত ২৩০ চিকিৎসক

৩২ থেকে ৩৯তম বিসিএসে পিএসসির সুপারিশ পাওয়ার পরও প্রায় চার শ প্রার্থী শুধু নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে বাদ পড়েছেন। এই ছয়টি বিসিএসে শুধু চিকিৎসক ক্যাডারেই বাদ পড়েছেন ২৩০ জন।
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন ফারহানা হোসেন। এ খবরে তাঁর পরিবারের সবাই খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই খুশি বেশি দিন টেকেনি। কারণ, নিয়োগের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনে (গেজেট) তাঁর নাম ছিল না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে পাস করা ফারহানা বাদ পড়ার কারণ খুঁজছিলেন। তিনি নিজ উদ্যোগেই মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে তিনি নিয়োগ পাননি। বর্তমানে নাটোরের একটি সরকারি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময়ও পুলিশি তদন্ত হয়েছে। কিন্তু তখন পুলিশ নেতিবাচক প্রতিবেদন দেয়নি। তাহলে এবার কেন? এ প্রশ্নের জবাব পাননি তিনি।

ফারহানা বললেন, ‘গত বছরের মার্চ থেকে ১৮ মাসে অন্তত ৩০ বার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি। কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কবে নিয়োগ হবে জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানলাম, পুলিশ প্রতিবেদন নেতিবাচক। তাই চূড়ান্ত নিয়োগে বাদ পড়েছি।’ তাঁর বাবা নাটোরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, মা আরেকটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাঁরা কেউ রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত নন। তাহলে নেতিবাচক প্রতিবেদন কেন? এ প্রশ্ন করে ফারহানার বাবা আক্ষেপ করেন, ‘মেয়ে মেধায় উত্তীর্ণ হয়েও প্রশাসন ক্যাডারের চাকরি থেকে বঞ্চিত হলো।’

ফারহানা একা নন, ৩২ থেকে ৩৯তম বিসিএসে পিএসসির সুপারিশ পাওয়ার পরও প্রায় চার শ প্রার্থী শুধু নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে বাদ পড়েছেন। এই ছয়টি বিসিএসে শুধু চিকিৎসক ক্যাডারেই বাদ পড়েছেন ২৩০ জন। তাঁদের অনেকের ব্যাপারে প্রথম আলো খোঁজ নিয়েছে। কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি।

জনপ্রশাসন সূত্র বলছে, পিএসসি নিয়োগের সুপারিশ করে তালিকা পাঠায় জনপ্রশাসনে। এই তালিকা ধরে জনপ্রশাসন পুলিশের কাছ থেকে প্রতিবেদন নেয়। পুলিশ প্রতিবেদনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলে বা নেতিবাচক কিছু পাওয়া গেলে তাঁরা বাদ পড়েন। তবে পুলিশ প্রতিবেদন নেতিবাচক হলে প্রার্থীরা জনপ্রশাসনে আবেদন করতে পারেন। পরে ইতিবাচক প্রতিবেদন পাওয়া গেলে তাঁরা নিয়োগ পান। অনেকে হাইকোর্টে মামলাও করেন এবং রায় পেলে চাকরি পেয়ে যান।

৩৭তম বিসিএসে ৬১ জন বাদ

৩৭তম বিসিএসে ২০১৮ সালে পিএসসি ১ হাজার ৩১৪ জনকে ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। এর প্রায় ৯ মাস পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২২১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে ৯৩ জন বাদ পড়লেও কাগজপত্র যাচাইয়ের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পার পেয়ে যান ৩২ জন। বাদ পড়া প্রার্থীরা নিয়োগ পেতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া একজনকেও আটকে দেওয়া ঠিক নয়। এটা অন্যায়, এটা অনৈতিক চর্চা। এই সংস্কৃতি বন্ধ করা উচিত। তাঁদের চাকরি দরকার, ব্যাপারটি শুধু এমনই নয়। প্রজাতন্ত্রও অপেক্ষা করছে তার নবীন সুশীল সেবকদের জন্য। তাই অপেক্ষার পালা সাঙ্গ করতে বিশেষ একটু নজর দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। আর অন্যগুলোতেও সরলীকরণের জন্য গুণগত মানের বিষয়ে আপস না করে যৌক্তিক সহজ পথ খুঁজতে হবে। এটা সম্ভব ও সমীচীন।

বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ১৩ জন, শিক্ষায় ১০, পুলিশে ২, চিকিৎসায় ১৪ ও কৃষিতে ২ জন এবং বাকিরা অন্য ক্যাডারের। তাঁদের কারও বিরুদ্ধেই কোনো মামলা নেই। নেতিবাচক প্রতিবেদন কেন, তা তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন।

বাদ পড়াদের একজন এস এম ইয়াসীর আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ৩৭তম বিসিএসে তিনি প্রশাসনে ১২৫তম হয়েছেন। আবার দশম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় ১৫তম হয়েছেন। দুটিতেই তাঁর নিয়োগ আটকে গেছে নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে। আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘দুটি তীব্র প্রতিযোগিতায় সফল হয়েও নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে আটকে গেছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় পাস করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন আনোয়ার হোসেন। ৩৭তম বিসিএসে তিনি উত্তীর্ণ হলে বর্গাচাষি কৃষক বাবার মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে নাম না আসায় সেই হাসি মিলিয়ে যায়। এদিকে চাকরির আবেদন করার আর বয়সও নেই। বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। হতাশায় ডুবে আছেন আনোয়ার।

৩৭তম বিসিএসে বাদ পড়া প্রার্থীরা বলছেন, অন্য বিসিএসেও প্রার্থীরা বাদ পড়েন। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তাঁরা আবেদন করেন। এভাবে অনেকের নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু ৩৭তম বিসিএস থেকে তাঁরা আবার পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য আবেদন করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাড়া দেয়নি। কবে আবার পুলিশ প্রতিবেদন হবে, তারও উত্তর দেয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য অনেকে বাদ পড়েন। ইতিমধ্যে অনেককে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছি। এরপরও যাঁদের প্রজ্ঞাপন হয়নি, তাঁদের বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।’

৩৫তম বিসিএসের ৩৪ জন

পিএসসি থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন কিন্তু নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে প্রজ্ঞাপনে নাম ওঠেনি, ৩৫তম বিসিএসে এই সংখ্যা ৩৪।

২০১৮ সালের অক্টোবরে ৩৫তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বাদ পড়েন প্রায় এক শ প্রার্থী। তাঁদের অনেকে আবেদন করে ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদন পেয়ে নিয়োগও পেয়ে গেছেন। এখন বাকি আছেন ৩৫ জন—প্রশাসন ও পুলিশে তিনজন করে, কৃষিতে দুজন আর অন্যরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারের।

বাদ পড়াদের একজন খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পাস করে ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পান। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে নাম নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, অনেক বাধা অতিক্রমের পর শুধু পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য বাদ পড়া অনেক বেশি কষ্টের ও হতাশার।

৩৬তম বিসিএসে ৬৯ জন

৩৬তম বিসিএসে নেতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের কারণে প্রজ্ঞাপনে নাম ওঠেনি ৬৯ জনের। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ২ হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে পিএসসি। এক বছর পর প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে ২ হাজার ২০২ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বাদ পড়েন ১২১ জন। পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য নতুন করে আবেদন করার পর ৫২ জনের চাকরি হয়েছে। এখনো ৬৯ জনের চাকরি হওয়ার বাকি।

৩৬তম বিসিএসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ থেকে পাস করা আসাদ উদ্দিন বলেন, ঠিক কোন কারণে তাঁর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে, তা বুঝতে পারছেন না। এভাবে নিয়োগবঞ্চিত হওয়ায় তাঁর মতো অনেকের পরিবার ভেঙে পড়েছে।

নিয়োগবঞ্চিত ২৩০ চিকিৎসক

পিএসসির সুপারিশের পরও মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়া প্রায় চার শ প্রার্থীর ২৩০ জনই চিকিৎসক। তাঁরা বলছেন, ৩২তম থেকে ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তাঁরা। এসব পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে তাঁদের স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। বিভিন্ন যাচাই-বাছাই শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাঁদের নাম বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।

এই তালিকায় আছেন ৩২তম বিসিএসের ১১ জন, ৩৩তম বিসিএসের ১১৪, ৩৪তম বিসিএসের ১০, ৩৫তম বিসিএসের ৬, ৩৬তম বিসিএসের ৫, ৩৭তম বিসিএসের ১৪ এবং ৩৯তম বিসিএসের ৭০ জন। ৩২তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে আর ৩৯তম (বিশেষ) বিসিএসের প্রজ্ঞাপন হয় এ বছর।

এ পরিস্থিতিতে তাঁরা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর একটি আবেদন করেছেন। তাঁরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করতে চান। এ জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁদের নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। যেকোনো জায়গায় তাঁরা কাজ করতে প্রস্তুত।

৩৩তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গত ছয় বছরের বেশি সময় কতবার যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি, তার হিসাব নেই। তারপরও নিয়োগ পাইনি।’

আরেক প্রার্থী বলেন, ৩২তম বিসিএসের পর আরও আটটি বিসিএস চলে গেছে। এই সময়ের মধ্যে বহুবার তিনি মন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, কিন্তু নিয়োগ পাননি। আরেক প্রার্থী বলেন, ‘বিসিএসে পাস করেছি। পোস্টিং কোথায়, তা যখন কেউ জানতে চায়, তখন লজ্জায় পড়ে যেতে হয়। পরিবারের সবাই হতাশ।’

নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁদের কারোরই চাকরির বয়স নেই। একেকটি বিসিএসে পিএসসি থেকে নিয়োগ পেতে তিন থেকে চার বছর লেগে যায়। এরপর প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়লে হতাশার শেষ থাকে না।

চারবার ইতিবাচক, বিসিএসে নেতিবাচক

বরিশালের বারপাইকা গ্রামের রত্নপুর ইউনিয়নের আগৈলঝাড়া উপজেলার জিয়াউল হক শাহা ৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পান। তাঁর বাবা মফসের আলী শাহা ২০১৫ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। জিয়াউল অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, পুলিশের সাব–ইন্সপেক্টর ও রাজস্ব বোর্ডের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার চাকরিও পেয়েছিলেন। এখন এর একটিতে তিনি কাজ করছেন। এর আগে চারটি চাকরিতে তাঁর পুলিশ প্রতিবেদন ইতিবাচক এসেছে। অথচ এবার বিসিএসের বেলায় নেতিবাচক প্রতিবেদন কেন এল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

কী যাচাই করে পুলিশ

মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন প্রকাশের আগে প্রার্থীদের ব্যাপারে ‘পুলিশ যাচাইকরণ’ করে। এই যাচাইকরণের কাজটি সাধারণত করে থাকে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। তবে গত কয়েক বছর অন্য গোয়েন্দা সংস্থা দিয়েও কাজটি করানো হয়েছে।

পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন প্রার্থীর প্রাক্‌-যাচাই ফরমে ১৬ ধরনের তথ্য যাচাইয়ের উল্লেখ থাকে। কোথায় লেখাপড়া করেছেন, সর্বশেষ পাঁচ বছর কোথায় থেকেছেন, এমন সাধারণ তথ্যের পাশাপাশি তিনি কোনো ফৌজদারি বা অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার, অভিযুক্ত বা দণ্ডিত হয়েছেন কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। এসব যাচাই শেষ করে বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার ও ডিআইজি মর্যাদার একজন কর্মকর্তার সইসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রার্থীর পরিবারের বর্তমান ও আগের রাজনৈতিক পরিচয়ও যাচাই করে।

পুলিশ যাচাইয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদনের পর বিসিএসের প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারি অপরাধ ছাড়া একজনকেও আটকে দেওয়া ঠিক নয়। এটা অন্যায়, এটা অনৈতিক চর্চা। এই সংস্কৃতি বন্ধ করা উচিত। তাঁদের চাকরি দরকার, ব্যাপারটি শুধু এমনই নয়। প্রজাতন্ত্রও অপেক্ষা করছে তার নবীন সুশীল সেবকদের জন্য। তাই অপেক্ষার পালা সাঙ্গ করতে বিশেষ একটু নজর দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। আর অন্যগুলোতেও সরলীকরণের জন্য গুণগত মানের বিষয়ে আপস না করে যৌক্তিক সহজ পথ খুঁজতে হবে। এটা সম্ভব ও সমীচীন।