নেতৃত্ব বিকাশের জন্য ডাকসু খুবই জরুরি: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান
ফাইল ছবি

নেতৃত্ব বিকাশের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘যখন সুন্দর একটি পরিবেশ হবে, তখন বিগত সময়ের মতো আবারও আমরা ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে পারব।’

সবশেষ ২০১৯ সালের মার্চে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। নুরুল হক ও গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন ওই ডাকসু কমিটির মেয়াদ ২০২০ সালেই শেষ হয়েছে। কিন্তু এর পর থেকে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই।

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য ডাকসু নির্বাচনকে ‘প্রত্যাশিত’ বলে মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ডাকসু একটি প্রত্যাশিত বিষয়। আপনারা যেমন প্রত্যাশা করেন, আমরাও এটি প্রত্যাশা করি। নেতৃত্ব বিকাশের জন্য এটি খুবই জরুরি। যখন সুন্দর একটি পরিবেশ এবং সবাই এক জায়গায় পৌঁছাতে পারব, তখন বিগত সময়ের মতো আবারও আমরা ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে পারব।’

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কে কোন সংগঠন করবে, কোন সংগঠন করবে না—এটি একেবারেই তাদের নিজস্ব বিষয়। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে গভীরভাবে বিশ্বাস করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবিকতার পরিচর্যা ও লালনকেন্দ্র। এখানে শিক্ষার্থীদের দলমত-আদর্শ পোষণ করার এখতিয়ার আছে। যাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করবেন, তাঁদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় অবাধ বিচরণ কেন্দ্র—এটি আমরা প্রত্যাশা করি এবং অনুপ্রাণিত করি। আমাদের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম ও পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে একাডেমিক জীবন শেষ করে দেশ-জাতি ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণে কাজ করতে খুবই উদ্যোগী। এটি আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক বিষয়।’

আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (দেড় ঘণ্টা) দেশের ৮টি বিভাগের কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই ইউনিটে ৯৩০ আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেছিলেন ৩০ হাজার ৭১৯ জন। সেই হিসাবে আসনপ্রতি প্রার্থী ৩৩ জন। তবে কতজন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।