নোয়াখালীতে চিকিৎসক-পুলিশসহ আরও ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ সদস্য, করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীসহ আরও ৮৪ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার জেলা সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেজে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।

এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৬ জন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে জেলার করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার দুটি কেন্দ্র আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাব থেকে সিভিল সার্জনের কার্যালয়কে ওই ফলাফল জানানো হয়। ল্যাব দুটিতে ৩৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৪ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়। আর বাকিদের ফলাফল নেগেটিভ।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীদের জন্য নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে গড়ে তোলা অস্থায়ী কোভিড-১৯ হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের দুজন কর্মচারী রয়েছেন।

অন্যদিকে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় বেগমগঞ্জ থানার আরও এক পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বেগমগঞ্জ থানার ১০ জন পুলিশ সদস্য সংক্রমিত হলেন। তিনি জানান, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চৌমুহনী পৌরসভা কার্যালয়-সংলগ্ন আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ পর্যন্ত ৫২ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ জনকে নোয়াখালীর কোভিড-১৯ হাসপাতাল, চৌমুহনীর আইসোলেশন সেন্টার ও সোনাপুর ফাঁড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছয়জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ৮৪ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮ জন, বেগমগঞ্জে ১৮ জন, সুবর্ণচরে ৭ জন, সোনাইমুড়ীতে ৮ জন, চাটখিলে ১৬ জন, সেনবাগে ১০ জন ও কবিরহাট উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন। আর সব মিলিয়ে উপজেলাভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা বেগমগঞ্জে ৪৩৯ জন, সদরে ২১৬ জন, কবিরহাটে ৭৫ জন, চাটখিলে ৭১ জন, সেনবাগে ৬৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ৫৫ জন, সুবর্ণচরে ২৮ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৮ জন এবং হাতিয়ায় ৬ জন।