নোয়াখালীতে জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ইতালিপ্রবাসীর মৃত্যু

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে এক ইতালিপ্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাঁর বাড়িসহ দুটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

এ ছাড়া জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার একটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সুধারাম থানা-পুলিশ ওই বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস প্রথম আলোকে বলেন, ওই বাড়ির এক বাসিন্দা বুধবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরেছেন। নারায়ণগঞ্জে এখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ খুব বেশি। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফেরেন। তিনি বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। এ অবস্থায় তাঁকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ওই ইতালিপ্রবাসীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। তাঁর ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ করছিল না। এ জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান বলেন, ইতালিপ্রবাসীর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গিয়েছিলেন। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করে এনেছেন। পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এলে লাশ ঢাকায় দাফন করা হবে। আর ‘নেগেটিভ’ এলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তাঁরা ইতালিপ্রবাসীর বাড়িসহ দুটি বাড়ি লকডাউন করেছেন। বাড়ি দুটিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার চারটি পরিবারের ২৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।