নোয়াখালীতে করোনা শনাক্ত ৬৯ জনের, সংক্রমণ হার কমেছে

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। গতকাল সোমবার রাতে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

জেলার দৈনিক করোনা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নোয়াখালীতে এক দিনের ব্যবধানে সংক্রমণ হার কমেছে ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের দিন সংক্রমণের হার ছিল ২৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় কেউ মারা যাননি। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৬৯ জনের মধ্যে ৪২ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। আর বাকিদের মধ্যে বেগমগঞ্জে সাতজন, সোনাইমুড়ীতে একজন, চাটখিলে পাঁচজন, সেনবাগে একজন, কোম্পানীগঞ্জে সাতজন ও কবিরহাট উপজেলায় ছয়জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৩৬। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৯২ জন। মারা গেছেন ১২৯ জন।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩৭ জন নোয়াখালী শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের ১২০ শয্যার কোভিড-১৯ ডেডিকেডেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর বাকিরা বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সূত্র জানায়, করোনায় আক্রান্ত রোগী ছাড়াও করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও ১৬ জন রোগীকে শহীদ ভুল স্টেডিয়ামের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে হাসপাতালে ৯০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ৭৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক ও সমন্বয়ক নিরুপম দাশ।

জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক মাসুম ইফতেখার প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে জেলায় তৃতীয় সপ্তাহের লকডাউন চলছে। লকডাউনের শুরুর দিকে সংক্রমণের হার যে পরিমাণ ছিল, তা এখন অনেক কমে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নোয়াখালীতে মৃদু ও মাঝারি ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চলছে।’

সিভিল সার্জন জানান, ২৫ জুন দিবাগত রাত ১২টায় চলমান এই লকডাউন শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ আরও কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।