নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সড়ক সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার খাসেরহাট-বাংলাবাজার-আক্তার মিয়ারহাট সড়কটির খানাখন্দ ও ভেঙে পড়া অংশ সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাসেরহাট-বাংলাবাজার-চরক্লার্ক-আক্তার মিয়ারহাট সড়কটির বেশির ভাগ অংশেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে হাজীপুর গ্রামের হাদী মার্কেট এলাকায় সড়ক ভেঙে পড়েছে পার্শ্ববর্তী ডোবায়। ওই স্থানটি দিয়ে ছোট-বড় যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৯৬ সালের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রথম সড়কটি পাকা করা হয়। এরপর একাধিকবার সংস্কারও করা হয়। কিন্তু সংস্কার মানসমঞ্চত না হওয়ায় এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সড়কটি দিয়ে এখন যানবাহনে এবং হেঁটে চলাচলও দুরূহ হয়ে পড়েছে।
হাজীপুর এলাকার ভ্যানচালক মো. লিটন বলেন, স্থানীয় হাদী মার্কেট এলাকায় সড়ক ভেঙে পাশের ডোবায় পড়েছে প্রায় ছয় মাস আগে। কিন্তু কেউ তা মেরামতে এগিয়ে আসেনি। কয়েক দিন আগে তিনি নিজেও ধান নিয়ে ওই ভাঙা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভ্যানসহ উল্টে পড়েন। স্কুলশিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, সুবর্ণচরের পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে মোহামঞ্চদপুর, চরক্লার্ক ইউনিয়নে যোগাযোগের অন্যতম এ সড়কটি দিয়ে চরাঞ্চলে উৎপাদিত ধানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উপজেলা সদরে আনা হয়। কিন্তু সড়কের দুরবস্থার কারণে কৃষককে পণ্য বাজারে আনতে গিয়ে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। তাই কৃষকের স্বার্থেও সড়কটির সংস্কার জরুরি।
ইজিবাইক-চালক আবুল খায়ের বলেন, সড়কটির খানাখন্দ দিয়ে যাত্রী পারাপার করতে গিয়ে ঘন ঘন বাইকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে বাইক চালিয়ে যে টাকা লাভ হয়, তার বেশির ভাগই চলে যায় রক্ষণাবেক্ষণে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুবর্ণচর উপজেলা প্রকৌশলী এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য একাধিকার প্রকল্প (স্কিম) তৈরি করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হয়ে এলে কাজ শুরু হবে।