নৌকার জাঁকজমক প্রচারণা, নীরবেই থাকল ধানের শীষ

মুন্সিগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে গতকাল বৃহস্পতিবার জাঁকজমকপূর্ণ প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তবে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার এবং পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচাতে মাঠের প্রচার থেকে দূরে থেকেছেন বিএনপির প্রার্থীরা।

আজ শুক্রবার সকাল আটটার পর থেকে প্রচারণা বন্ধ। গতকাল কার্যত প্রচারণার শেষ দিন ছিল। এদিন মুন্সিগঞ্জের আসনগুলোতে ব্যাপক প্রচারণায় নামেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

গতকাল দুপুরে সিরাজদিখান উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মুন্সিগঞ্জ–১ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহী বি চৌধুরী জনসভা করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। পরে বিকেলে শ্রীনগর স্টেডিয়াম মাঠে আরেকটি সভা করেন মাহী বি চৌধুরী।

এ আসনে শুরু থেকেই প্রচারণায় ছিলেন বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। গতকাল সকালে তিনি সিরাজদিখানের রশুনিয়া, ইছাপুরা, নিমতলা, রাজানগর, শেখরনগর ও চিত্রকোট ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন। বিকেলে শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া, ষোলঘর, তন্তর, বাড়ৈখালী ইউনিয়নে প্রচারণা চালান তিনি।

মুন্সিগঞ্জ-২ (লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন শুরু থেকেই মাঠে সরব। গতকাল ঘটা করে মাঠে নামেন তিনি। সকালে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নে পথসভা করেন তিনি। সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

তবে এই আসনে এক দিনও গণসংযোগ করতে পারেননি বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা।

গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে যান মৃণাল কান্তি দাস। মানুষের কাছে নৌকার পক্ষে ভোট চান। উপজেলা ভাটেরচর এলাকায় নির্বাচনী জনসভা করেন।

এদিকে আবদুল হাই ভোটারদের কাছে মুঠোফোনে ভোট চাচ্ছেন। গতকাল সকাল থেকে অনেক ভোটারের মুঠোফোনে এই প্রার্থীর অডিও বার্তা গেছে বলে জানা গেছে।