ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির দূত হলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার্স অ্যাট লার্জ’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শহিদুল আলম ও মায়া লিনকে
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার্স অ্যাট লার্জ’ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

দৃক গ্যালারির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহিদুল আলম ছাড়াও এই পদে নিয়োগ পেয়েছেন মায়া লিন। তাঁরা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির দূত হিসেবে যেমন কাজ করবেন, তেমনি তাঁদের কাজেও সহযোগিতা করবে এই প্রতিষ্ঠান।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার্স অ্যাট লার্জ হিসেবে কাজ করেছেন সমুদ্রের নিচে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের আবিষ্কারক মার্কিন নাগরিক রবার্ট ব্যালার্ড। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব রোড আইল্যান্ডের ওশেনোগ্রাফির অধ্যাপক তিনি। এই পদে কাজ করেছেন মেক্সিকোর ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর ইনস্টিটিউট অব ইকোলজির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক রদ্রিগো এ মেডেল। বাস্তুসংস্থান, পরিবেশ সংরক্ষণের মতো বিষয়ে ৪০ বছর ধরে কাজ করছেন তিনি। এ–সংক্রান্ত ১৯০টির বেশি প্রকাশনা রয়েছে তাঁর।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যাঁরা অ্যাট লার্জ হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে থাকেন, তাঁদের বিজ্ঞান, কোনো কিছু উদ্ভাবন, স্টোরি টেলিং ও শিক্ষা খাতে কাজ করার জন্য সহযোগিতা ও তহবিল দেওয়া হয়।

শহিদুল আলমের নিয়োগ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির চিফ স্টোরি টেলিং কর্মকর্তা কেইটলিং ইয়ারাল বলেন, ‘শহিদুল ও মায়া তাঁদের কর্মজীবনে স্টোরি টেলার হিসেবে সাহস, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই।’

দৃক গ্যালারির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শহিদুল ও মায়া প্রতিবছর বৃত্তি পাবেন এবং তাঁদের কাজের জন্য তহবিল সহযোগিতা পাবেন। এদিকে শহিদুল আলম বলেন, ‘একজন দূত হিসেবে আমি আশা করছি, সামাজিক ন্যায্যতা ও মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব এবং এর আওতা বাড়াতে পারব।’